এই সময়ের রূপচর্চা

মাসটা বৈশাখ। তাই ঝড়-বৃষ্টি ছাড়া বেশ গরম। অল্পতেই ঘেমে-নেয়ে উঠতে হয়। এর সঙ্গে ধুলাবালি গায়ে মুখে লেগে ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। গ্রীষ্মে ত্বকের সমস্যা আর সমাধান নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন প্রিয়াংকা’স অ্যারোমা থেরাপি স্পা অ্যান্ড বিউটি সেলুন-এর রূপবিশেষজ্ঞ শিবানী দে।

প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2013, 08:52 PM
Updated : 26 April 2013, 08:52 PM
গরমের মধ্যেও মৃদুমন্দ বাতাস আর মাঝে মাঝে বৃষ্টি বাদল কিছুটা স্বস্তি দিয়ে যায়। তবে এই সময়ে ত্বকের যে ক্ষতিটা হচ্ছে তা পূরণ করা খুবই জরুরি। গরমে চামড়ায় বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। যেমন অতিরিক্ত ঘাম, ঘামাচি, সূর্যের তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি। তাছাড়া অতিরিক্ত তেল নিঃসরন হওয়া ফলে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। ঘাম ও ধুলাবালির কারণে অনেকের অ্যালার্জিও দেখা দেয়। আরও একটি বিষয় হচ্ছে, এই সময়ে অতিরিক্ত ঘাম ও বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

প্রতিকার

গরমে ঘাম হবে এটা খুবই স্বাভাবিক। ঘাম পুরোপুরি বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি ও জলজ ফল খেলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। পানি পান করা এবং জলজ ফলমূল খেলে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

রূপচর্চার ক্ষেত্রে এ সময়ে পরিষ্কার পানিতে কমপক্ষে দিনে ২ বার গোসল দিন। ভালো সুগন্ধি ব্যবহার অনেকাংশে অস্বস্তি থেকে রক্ষা করতে পারে। দুর্গন্ধ ও ঘামাচি থেকে রক্ষা পেতে হলে গোসলের সময় এক বালতি পানিতে ১ চা চামচ খাবার লবণ ও ল্যাভানডার গার্ডেনিয়া এসেনসিয়াল ওয়েল (Lavender, Gardenia Essential Oil) মিশিয়ে মাথা ও চুল বাদে সারা শরীরে ঢেলে দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ সময়ে সুতির ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়া ঘামের দুর্গন্ধ, ঘামাচি বা এই ধরনের সমস্যায় সবরকম সহায়তা করবে শিবানী’জ অ্যারোমার ‘শীতল বডি ওয়াশ’।

রোদে যাদের ত্বক পুড়ে গেছে বা কালো ভাব হয়ে গেছে তাদের জন্য কমলালেবু সমৃদ্ধ ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। আর অন্তত ১দিন পরপর একটি ফেইস প্যাক ব্যবহার করা খুবই জরুরি। এতে ত্বকে রোদেপোড়া ভাবটা দূর হয়ে যাবে। এ রকম একটি প্যাক হচ্ছে শিবানী’জ অ্যারোমার ‘ফেয়ার গ্লো প্যাক’। এটি পানিতে না গুলিয়ে নিমসমৃদ্ধ ভালো মানের টোনার দিয়ে গুলিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। যাদের অ্যালার্জি আছে তারাও খুব উপকৃত হবেন। প্যাকটি বানাতে মুলতানি চন্দন, অম্বগান্ধা, শঙ্খগুড়া উপাদানগুলো মেশালে আরও ভালো কাজ দেবে। এর সঙ্গে নিমের টোনার হিসেবে রয়েছে ‘নিমটিন’।

সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে সূর্য রশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়া। এক্ষেত্রে এমন সান প্রোটেকশন লোশন বা ক্রিম বাছাই করা উচিত, যাতে ঘাম হলেও সমস্যা হবে না। আর ত্বক তৈলাক্ত করবে না। অ্যালোভেরা জেলসমৃদ্ধ সান প্রোটেকশন লোশন খুবই কার্যকরী। ছাতা আর রোদচশমা ব্যবহার সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করবে।অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ ও ধুলাবালিতে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর জন্য ত্বক পরিষ্কার রাখা ছাড়া বিকল্প নেই। দিনে রাতে কমপক্ষে তিন থেকে চারবার পানি দিয়ে ঝাপটা দেওয়া আর না মুছে মুখে শুকাতে দেওয়া খুবই উপকারী। কারণ পানি হচ্ছে প্রাকৃতিক ময়েস্চারাইজার।

এ সমস্ত সমস্যায় শিবানী অ্যারোমায় যা আছে- শীতল বডি ওয়াশ, অলক্লিন ক্লিনজার। অরেঞ্জ অ্যান্ড হানি ফেইসওয়াশ, সকালসন্ধ্যা স্ক্রাবার ফেইসওয়াশ, নিম চন্দন ফেইসওয়াশ, ভিটামিন-ই ফেইসওয়াশ, নিমটিন, ফেয়ার গ্লো প্যাক, সান সেফ জেল, সানসেফ