মুখে দেখা দিয়েছে ছোপ ছোপ দাগ। বেশি বয়সে অনেক মহিলাই নানান রকম ত্বকের সমস্যার ভোগেন। অনেক সময় চিকিৎসা নিয়েও কাজ হয় না। এদেশে ত্রিশোর্ধ মেয়েদের ত্বকের নানামুখী সমস্যার কথা ভেবে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার কণা আলম ২০০৭ সালে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন ‘ফ্রুটস পিল’ নামে একধরনের ত্বকের চিকিৎসা বা স্কিন ট্রিটমেন্ট। মেছতা, চোখের চারপাশে কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল, ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারানো, ফুস্কুড়ি বা পিম্পলস, ত্বক ফর্সা করাসহ বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যার সমাধান সম্ভব এ ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে।
কনা আলম জানান, “বাংলাদেশে এ ব্যবস্থা প্রচলনের জন্য আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। উন্নত দেশগুলোতে দেখেছি তারা ত্বক সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। বিশেষ করে যারা বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করেন সেসব মহিলারা পিলিং এর প্রতি খুব বেশি আগ্রহী। আমার কাছে বিষয়টা ভালোই মনে হলো । ফলে আমি এর উপরে ৬ মাসের একটি কোর্স সম্পন্ন করি। দেশে এসেই জাপানে উদ্ভাবিত এই ‘ফ্রুটস পিলিং ট্রিটমেন্ট’এর সেবা ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে দেয়ার চেষ্টা করি। প্রথম থেকেই এ সেবা অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সব ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত এ পিলিং এর মাধ্যমে যে কেউ একটি পারফেক্ট ত্বক নিয়ে চলাফেরা করতে পারেন। কারণ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের শরীরের মধ্যে এক ধরনের শুষ্কতার সৃষ্টি হয়। যার কারণে ত্বকের উপর বলিরেখাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। যদি বয়স ত্রিশ-এর উপরে হয় তবে অবশ্যই একবারের জন্য এই ট্রিটমেন্ট করানো উচিৎ। একবার করানোর পরে যদি নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে থাকেন তবে তার আর এ ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন হবে না। তবে যারা সময় পান না বা পিলিংএর পরের পরিচর্যা ঠিকমতো করতে পারেন না তারা ২ থেকে ৫ বছর পরে আবার পিলিং করাতে পারেন।
এ ছাড়াও ঘরে বসে কিছু নিয়ম পালন করা উচিৎ
ছবিঃ আরিফ আহমেদ