সেই সঙ্গে তথ্যচিত্র কালীর পরিচালককে গ্রেপ্তার এবং সিনেমাটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে সোশাল মিডিয়ায়।
নির্মাতা লীনা মনিমেকালাই গত ২ জুলাই নিজেই সিনেমার পোস্টারটি প্রকাশ করেন। সেখানে দেবীর বেশভূষায় এক নারীকে সিগারেট টানতে দেখা যায়।
ইন্ডিয়া টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পোস্টারে দেবীর এক হাতে ত্রিশূল আছে; অন্য হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পতাকা ধরিয়ে দিয়েছেন নির্মাতা। তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে।
এ নিয়ে পুলিশের সাইবার সেলের কাছে অভিযোগ করেছেন জিন্দাল নামের দিল্লির এক আইনজীবী। তিনি বলছেন, পরিচালক কালীকে দিয়ে ধূমপানের ছবি দেখিয়ে তার ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আইএনএসকে ওই আইনজীবী বলেছেন, “এটা ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ কাজ।“তার ভাষায়, “এটা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য।”
এই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার আবেদন জানিয়ে ওই আইনজীবী বলেছেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে’ ওই নির্মাতার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সিনেমার ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ করা হয়েছে যা ‘অপরাধ’। তাই তার (নির্মাতা) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য ‘অবমাননাকর’ ওই ছবি এবং ভিডিও ক্লিপ অবিলম্বের ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ধর্মীয় অনুভূতিতে ‘আঘাত হানার’ অভিযোগে নির্মাতা লীনা মনিমেকালাইয়ের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন আরো বেশ কিছু নির্মাতা, যাদের মধ্যে আছেন অশোক পণ্ডিত।
কালীর ওই পোস্টার আর মুসলমানদের নবী মোহাম্মদ (সা.) নিয়ে করা নূপুর শর্মার মন্তব্যের মধ্যে পার্থক্য দেখছেন না অশোক পণ্ডিত। তিনিও লীনা মণিমেকালাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
স্যোশাল মিডিয়ায় ‘অ্যারেস্ট লীনা মনিমেকালাই’ নামে একটি হ্যাশট্যাগও ট্রেন্ড হয়েছে। বিক্ষুব্ধদের একজন বলেছেন, কানহাইয়া লাল হত্যার জন্য নূপুর শর্মাকে দায়ী করা সুপ্রিম কোর্ট কি এমন একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এই মামলাটি গ্রহণ করবেন, যিনি হিন্দু দেবীকে ‘অসম্মান’ করেছেন?
জয়িতা পাণ্ডে নামের এক নারী টুইটে লিখেছেন, লীনা মনিমেকালাই এমন একজন নির্মাতা, যিনি হিন্দু ঈশ্বরকে ধূমপায়ী হিসেবে চিত্রিত করেছেন এবং মা কালীকে ‘অপমান’ করেছেন।
হিন্দু দেবীর এমন উপস্থাপনায় কীভাবে চুপ থাকা যায় - প্রশ্ন তুলেছেন একজন। তার ভাষ্য, ওই পোস্টার হিন্দুদের ‘অবমাননা’ করেছে।
মনিকা নামের একজন টুইটারে লিখেছেন, এটা আরও বেশি ‘দুঃখজনক’ কারণ ওই তথ্যচিত্রের নির্মাতা একজন ভারতীয়। তিনি নিজেকে ‘নাস্তিক দাবি করেন বলেই’ কালীকে এমন ‘অবমাননাকর’ উপায়ে উপস্থাপন করতে পেরেছেন।
পুরনো খবর: