সোশাল মিডিয়াকে দুষলেন অ্যাম্বার হার্ড

মানহানির মামলায় সাবেক স্বামী জনি ডেপের কাছে হেরে যাওয়ার জন্য বিচারকদের নয়, সোশাল মিডিয়াকেই দুষছেন অ্যাম্বার হার্ড।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2022, 07:10 PM
Updated : 13 June 2022, 07:11 PM

এই অভিনেত্রীর ভাষ্যে, বিচার প্রক্রিয়া চলার পুরোটা সময় তিনি যেভাবে অনলাইনে বিদ্বেষমূলক ও তিক্ত প্রচার সয়েছেন, তা এটাই স্পষ্ট করেছে যে সোশাল মিডিয়ায় ন্যায়ভিত্তিক আচরণ তিনি পাননি।

মামলায় হারের দুই সপ্তাহ পর প্রথম দেওয়া কোনো সাক্ষাৎকারে ‘অ্যাকুয়াম্যান’ তারকা হার্ড এই প্রতিক্রিয়া জানান বলে বিবিসি জানিয়েছে।

২০১৫ সালে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ তারকা জনি ডেপের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন হার্ড, কিন্তু তাদের দাম্পত্যের ইতি দুই বছরের মধ্যেই ঘটে।

এরপর ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে এক নিবন্ধে নিজেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে তুলে ধরেন হার্ড। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। তার পাল্টায় ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন হার্ড।

সেই মামলার রায়ে গত ১ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে জনি ডেপের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে তার মানহানি ঘটিয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড। মানহানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ডেপকে এক কোটি তিন লাখ ডলার দিতে হবে হার্ডকে।

জনি ডেপের ‘প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া’ সেই রায়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এনবিসি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাম্বার হার্ড বলেন, “বিচারের রায় কী হল, কে আমাকে নিয়ে কী ভাবল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

“তবে যদি কেউ মনে করে যে সব বিদ্বেষ আর ঘৃণা আমার প্রাপ্য, যদি কেউ মনে করেন যে আমি মিথ্যা বলছি, তাহলে আমি বলব যে সোশাল মিডিয়ায় ন্যায্যতার প্রতিফলন ঘটেনি। এটা আপনি বলতে পারেন না যে আমি ভাবছেন যে এটা ন্যায্য।”

অ্যাম্বার হার্ড বলেন, জুরিরা কী দেখে রায় দিয়েছেন, তা তার কাছে বোধগম্য।

“আমি তাদের দোষ দিচ্ছি না। আমি বুঝতে পারছি। সে (জনি ডেপ) সবার প্রিয় একটি চরিত্র। আর সবাই মনে করে, তাকে তারা জানে। সে খুব চমৎকার একজন অভিনেতা।”

জুরিরা ব্যক্তি দেখে নয়, তথ্য প্রমাণ দেখে রায় দেয়- তা বলা হলে হার্ড বলেন, “সাড়ে ৩ সপ্তাহের বিচারে তারা কীভাবে বুঝে গেলেন যে আমার কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়, আমার মুখের একটি কথাও সত্য নয়।”