‘মাল্টিভার্সে’ ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’

বিশ্বাস করা কঠিন যে দর্শকদের জন্য ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’র সিক্যুয়েল এল ছয় বছর পর। কিন্তু ব্যাপারটি ঘটেছে এবং ‘মাল্টিভার্সে’ প্রবেশ করেছে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2022, 08:00 AM
Updated : 7 May 2022, 08:00 AM

সিএনএন বলেছে, ৬ মে মুক্তি পাওয়া মার্ভেলের সুপার হিরো সিনেমা ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস’ মার্ভেল সিরিজের একই সঙ্গে ভালো ও উন্মাদনাপূর্ণ সিনেমা হতে পারে।

‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয়েছে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস’, যার মধ্য দিয়ে বহু মাহাবৈশ্বিক জগতে ঢুকলেন ড. স্ট্রেঞ্জ।

ছয় বছর দেরির কারণ এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র স্টিফেন স্ট্রেঞ্জের ভূমিকায় বেনডিক্ট ক্যাম্বারব্যাচের ব্যস্ততা। গত কয়েক বছরে একাধিক সিনেমায় জাদুকরের ভূমিকায় অভিনয় তিনি। সেই ‘অ্যাডভেঞ্চারস’ থেকে ‘থর’ পর্যন্ত, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম’ এও।

সিনেমাতে বেনডিক্টকে ভয়ঙ্কর সব রূপের মুখোমুখি হতে হয়। ড. স্ট্রেঞ্জরূপে তিনি অন্য মহাকাশে যান, যেখানে রয়েছে অন্য সব পৃথিবী, যা নিজস্ব বাস্তবতায় চলছে।

সিনেমাটিতে ড. স্ট্রেঞ্জ সহায়তা করতে যান তরুণী আমেরিকা শাভেজরূপী শোচি গোমেজকে, যিনি মাল্টিভার্সে দরজা খোলার সক্ষমতা রাখেন। সেই শক্তি ‘স্ট্রেঞ্জ’কে শুধু মহাবিশ্বের নয়, অন্যদেরকেও বাঁচানোর জন্য একই উন্মত্ত প্রতিযোগিতায় নিয়ে যায়।

বেনডিক্ট ও শোচি ছাড়াও এই সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্র অভিনয় করেছেন এলিজাবেথ ওলসেন, র‍্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস, চিউইটাল এজিওফোর প্রমুখ।

সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন স্যাম রাইমি। গল্পে স্পর্শকাতর বিষয়গুলো আসলে ডিজনি প্লাস থেকে এসেছে, যা বুঝিয়ে দিয়েছে ‘মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স’ কতটা বিশাল।

এই সিনেমায় সংযোগ হয়েছে মার্ভেলের ‘ওয়ান্ডাভিশন’র, যা এসেছে ওয়ান্ডা ম্যাক্সিমফ (এলিজাবেথ ওলসেন) চরিত্রের মাধ্যমে, তার স্কারলেট ডাইনিতে রূপান্তর সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

সিনেমায় প্রযুক্তি ব্যবহারে চমকপ্রদ কৌশল দেখিয়েছেন পরিচালক রাহিমি। সবমিলিয়ে ক্যাম্বারক্যাচ এবং ওলেসেনের মতো অভিনেতাদের অভিনয় এবং ব্যয়বহুল অ্যা্কশনধর্মী সিনেমাটি উপেক্ষা করার উপায় নেই।

সিএনন লিখেছে, মার্ভেল থিয়টারের সিনেমা নিয়ে বরাবরই দর্শক প্রত্যাশা বেশি থাকে। তবে ধারণা করা হচ্ছে সিনেমাটি উপভোগ্যও হতে পারে, আবার কিছুটা হতাশাও আনতে পারে।