আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কেঁদে ফেললেন হলিউড তারকা অ্যাম্বার হার্ড; ভার্জিনিয়ার জুরিদের সামনে বললেন, সাবেক স্বামী জনি ডেপের ট্যাটু নিয়ে হাসায় কীভাবে তাকে চড় খেতে হয়েছিল।
Published : 05 May 2022, 12:02 PM
জনি ডেপের করা মানহানির মামলায় বুধবার প্রথমবারের মত আদালতে সাক্ষ্য দেন ‘অ্যাকুয়াম্যান’ এর অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড।
বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় ২০১৭ সালে জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় অ্যাম্বার হার্ডের। ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ডেপ। এরইমধ্যে আদালত তার জবানবন্দি শুনেছে। এখন চলছে তার সাবেক স্ত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ।
সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আবেগ আক্রান্ত অ্যাম্বার হার্ড আদালতকে বলেন, জনি ডেপের সঙ্গে তার প্রেম ছিল ‘জাদুর’ মত, কিন্তু হঠাৎই তা সহিংস হয়ে ওঠে।
৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানান, সাবেক স্বামী প্রথমবার তাকে শারীরিক আঘাত করেন, যেদিন তিনি জনি ডেপের শরীরে আঁকা একটি ট্যাটু নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।
তিনি জানতে চেয়েছিলেন, মলিন হয়ে যাওয়া ওই ট্যাটুতে কী লেখা আছে। উত্তরে ডেপ বলেছিলেন- ‘উইনো’। উত্তর শুনে হেসে ফেলেছিলেন হার্ড, ভেবেছিলেন এটা হয়ত কোনো কৌতুক।
“এরপরই সে আমার গালে চড় মারল। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না হঠাৎ কী ঘটে গেল। আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।”
হার্ড তার সাক্ষ্যে বলেন, এরপর তাকে আরও দুবার চড় মারেন ডেপ; বলেন, “*****, তোর কাছে এটা হাসির কথা মনে হল?”
৫৮ বছর বয়সী জনি ডেপ এর আগে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে দাবি করেছিলেন, তিনি কখনো অ্যাম্বার হার্ড বা কোনো নারীকে আঘাত করেননি বরং তার সাবেক স্ত্রীই তাদের সম্পর্কের অনৈতিক সুযোগ নিয়েছে।
‘পাইরেট অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ সিনেমার অভিনেতা জনি ডেপ এ মামলায় অ্যাম্বার হার্ডের কাছে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তার অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ তুলে সম্মানহানী করেছেন তার সাবেক স্ত্রী।
এর জবাবে তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি ডলারের পাল্টা মানহানির মামলা করেছেন অ্যাম্বার হার্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি আদালতে এ মামলার শুনানি চলছে। মের শেষ পর্যন্ত এ বিচার কার্যক্রম চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।