বিবিসি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় স্মিথের বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলামূলকভঙ্গের’ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অ্যাকাডেমি।
সেখানে বলা হয়েছে, “স্মিথকে অস্কারের অনুষ্ঠান ছেড়ে যেতে বলা হলেও তিনি থেকে যান। আমরা এও স্বীকার করছি যে, ঘটনাটি একটু ভিন্নভাবে সামাল দেওয়া যেত।”
অ্যাকাডেমির নিয়ম অনুযায়ী, অযৌক্তিক শারীরিক আচরণ, আপত্তিজনক বা হুমকিমূলক আচরণ, অ্যাকাডেমির অখণ্ডতার ব্যাপারে বিব্রবতকর পরিস্থিতি তৈরি করলে তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এসবের কোনোটিতে উইল স্মিথ দোষী সাব্যস্ত হলে অস্কারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা, বহিষ্কার বা অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। আগামী ১৮ এপ্রিল অ্যাকাডেমির বোর্ড সভায় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
রোববার রাতে অস্কারের পুরস্কার বিতরণী চলার সময় উইল স্মিথের স্ত্রী পিনকেট স্মিথের মুণ্ডিত মাথা নিয়ে রসিকতা করেছিলেন কমেডিয়ান ক্রিস রক, যা সহ্য হয়নি উইল স্মিথের। তাই তিনি মঞ্চে উঠে চড় কষিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্রাঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পিনকেট স্মিথ নিজেও একজন অভিনেত্রী, এখন তাকে চুলছাড়া দেখা গেলেও আগে তেমন ছিলেন না। ২০১৮ সালে এলোপিশিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তার চুল ঝরে যায়।
চড় মারার কিছুক্ষণ পর এবারের সেরা অভিনেতার পুরস্কারের জন্য উইল স্মিথের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার নেওয়ার সময় দেওয়া বক্তব্যে ওই ঘটনার জন্য অ্যাকাডেমি এবং সহমনোনীতদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
পরে সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ইনস্টাগ্রাম পেইজে ক্রিস রকের কাছেও ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন স্মিথ। তিনি লেখেন, “সব ধরনের সহিংসতা বিষবৎ এবং ধ্বংসাত্মক। গত রাতে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠানে আমার আচরণ ছিল অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য।
“আমার পেশায় আমার মত মানুষকে নিয়ে কৌতুক করা, এটাও আমার পেশারই অংশ। তবে জাডার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কৌতুকটি আমার জন্য নেওয়াটা কঠিন ছিল। আমি আবেগপ্রবণ হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলেছি।”
‘কিং রিচার্ড’ সিনেমায় টেনিস তারকা ভেনাস ও সেরেনা উইলিয়ামসের বাবা রিচার্ড উইলিয়ামসের চরিত্রে অভিনয়ের স্বীকৃতিতে উইল স্মিথ ক্যারিয়ারের প্রথম অস্কার জিতেছেন এবার। কিন্তু অস্কারের মঞ্চে থাপ্পড় কাণ্ডের পর থেকে বিতর্কে রয়েছেন তিনি।