বিনোদন বিষয়ক সাময়িকী ভ্যারাইটি জানায়, স্যান ডিয়াগো ইউনিভার্সিটির সেন্টার অব উইমেন ইন টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্মের নির্বাহী পরিচালক ড. মার্থা লাউজেনের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণার ফল বলছে, ৮৫ শতাংশ চলচ্চিত্রে পুরুষ চরিত্রের সংখ্যা নারী চরিত্রের চেয়ে বেশি ছিল। সবমিলিয়ে পুরুষ চরিত্রের সংখ্যা ছিল নারী চরিত্রের দ্বিগুণ, এবং মাত্র ৩১ শতাংশ সিনেমায় শুধু নারীকে প্রধান চরিত্রে দেখা গেছে। এছাড়া শুধু ৮ শতাংশ সিনেমায় নারী ও পুরুষের চরিত্রের সংখ্যা সমান ছিল।
চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নারীর উপস্থিতির হারও ২০২০ সালের ৩৮ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
গবেষক মার্থা লাউজেন বলছেন, “গত দুই বছর চলচ্চিত্র ব্যবসায় বড় ধরনের ধাক্কা এলেও রূপালী পর্দায় জেন্ডারভিত্তিক আনুপাতিক হারে হেরফের হয়নি। গত বছর দর্শকেরা প্রতি দুই জন পুরুষ চরিত্রের বিপরীতে একজন নারী চরিত্রকে দেখতে পেয়েছেন।
“যদিও ‘স্পেনসার’, ‘বিয়িং দ্য রিকার্ডোস’ ও ‘দ্য আইজ অব ট্যামি ফায়ে’র মত হাই-প্রোফাইল সিনেমায় নারীই ছিল মূল চরিত্র, তারপরও গত বছর মূল ভূমিকায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ নারী চরিত্র ছিল।”
গবেষণায় দেখা গেছে, এশীয় ও লাতিন নারী চরিত্রের উপস্থিতির হার কিছুটা বেড়েছে, তবে হাতেগোণা চলচ্চিত্রেই তা কেন্দ্রীভূত ছিল। ওই সিনেমাগুলোকে বাদ দিলে ২০২১ সালের সার্বিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে এশীয় ও লাতিনদের উপস্থিতি বরং আগের বছরের চেয়ে কম।
২০২১ সালের নিজ দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি আয় করা ১০০টি চলচ্চিত্রের ৩ হাজার ১০০ চরিত্রের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করেন ড. লাউজান। তিনি ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপের ‘ওয়াচড অ্যাট হোম’ তালিকা থেকেও নারীর উপস্থিতিকে অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ও ডিজনি প্লাস এই ‘ওয়াচড অ্যাট হোম’ তালিকায় ছিল না।
২০০২ সাল থেকে পরিচালিত এই গবেষণায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ চলচ্চিত্রের ২৫ হাজার চরিত্রের উপস্থিতিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।