ইউরোভিশন থেকেও বাদ রাশিয়া

ইউক্রেইনে হামলার জেরে পশ্চিমা বিশ্বের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতা থেকেও বাদ দেওয়া হল রাশিয়াকে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2022, 05:44 AM
Updated : 26 Feb 2022, 05:44 AM

ইভেন্টের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ) বলেছে, এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওই প্রতিযোগিতায় রাশিয়াকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।

তাদের ভাষ্য, ইউক্রেনের নজিরবিহীন সংকটের প্রেক্ষাপটে এই প্রতিযোগিতায় রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তি প্রতিযোগিতাকে ‘অসম্মানিত’ করতে পারে।

বিবিসি জানিয়েছে, একদিন আগেও ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজকরা বলেছিল, রাশিয়াকে এতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুতই তার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে।

মূলত ইউক্রেইন আক্রমণের পর ২০২২ সালের ফুটবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে সরিয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে নেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইবিইউ।

২০২১ সালের প্রতিযোগিতায় ইতালীয় রক ব্যান্ড মানেস্কিন জয়ী হওয়ার পর ইউরোভিশনের ৬৬তম আসর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তুরিনে।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে, ইউক্রেনীয় সম্প্রচার সংস্থা ইউএ:পিবিসি ইউরোভিশন থেকে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত ও প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিল ইবিইউকে।

আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডসসহ অন্যান্য দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থাগুলোও রাশিয়াকে প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছিল।

ফিনল্যান্ড বলেছে, রাশিয়া ইউরোভিশন প্রতিযোগিতায় অংশ ‍নিলে তারা আগামী মে মাসে ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধি পাঠাবে না।

ইবিইউ বলেছে, “সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মূল্যবোধ রক্ষায় তারা নিবেদিত রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিনিময় ও বোঝাপড়া তৈরি করে, শ্রোতাদের সংগঠিত করে, সংগীতের মাধ্যমে বৈচিত্র্য উদযাপন ও ইউরোপকে এক মঞ্চে নিয়ে আসে।”

যুক্তরাজ্যের কালচার সেক্রেটারি নাদিন ডরিস এক টুইটে বলেছেন, “ইউরোভিশন মানে স্বাধীনতা, একতা এবং দেশগুলোর মধ্যে সম্মান, যা বিশ্বজুড়ে দশ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে এবং উপভোগ করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোভিশনের ব্যবস্থা ও তাকে বের করে দেওয়ায় আনন্দিত।”

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। তার আগে ইউক্রেইনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করে সেনা অভিযানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পরই পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে। তবে ইউক্রেইনে হামলা শুরুর পর আরও কঠোর অবরোধ আরোপ করছে নেটোভুক্ত দেশগুলো।

প্রেসিডেন্ট পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর প্রধান লেনদেন মাধ্যম সুইফটে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর