পর্দা উঠল ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২০তম আসরের

সত্তরটি দেশের সোয়া দুইশ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী লক্ষ্য নিয়ে রাজধানীতে শুরু হলো নয় দিনের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2022, 01:49 PM
Updated : 15 Jan 2022, 02:27 PM

শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য 'বেটার ফিল্ম,  বেটার অডিয়েন্স, বেটার সোসাইটি'।

লেবানন ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ও মারিয়া ইভানোভা জেড পরিচালিত ‘দ্যা অ্যাংগার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়।

২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উৎসবে ১২৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ফিচার ফিল্ম এবং ৯৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, যেখানে ১৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার ফিল্ম ও ২২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা হবে।

এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশুতোষ চলচ্চিত্র, উইমেন্স ফিল্মমেকার, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র এবং আধ্যাত্মিক চলচ্চিত্র- এই ১০টি বিভাগের অধীনে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে বলে জানান আয়োজকরা।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন ডি ঢাকা, স্টার সিনেপ্লেক্স, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সুফিয়া কামাল জাতীয় পাবলিক লাইব্রেরি এবং প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তনেও চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে।

এছাড়া চলচ্চিত্র উৎসবে ১৬-১৭ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে “অষ্টম ঢাকা আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স ২০২২” এবং ১৬-১৯ জানুয়ারি ২০২২ অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তনে ওয়েস্ট মিট ইস্ট: চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব খুবই মর্যাদাপূর্ণ একটি উৎসব।  এটি ইতিবাচক ও সুস্থধারার জাতীয় চলচ্চিত্র সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে। এটি তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বৈশ্বিক শৈল্পিক ধারার সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।

"আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই বার্ষিক উৎসব তরুণ মননে বৈচিত্র্যতা গ্রহণ, বিশ্বায়ন ও উদারবাদনীতিতে তরুণ প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।"

রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে।

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের সঙ্গে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীর এই উৎসব আয়োজন করার জন্য রেইনবো ফিল্ম সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সংস্কৃতি  প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে একটি জাতি তার ঐতিহ্যকে প্রকাশ করতে পারে। চলচ্চিত্র কতটা প্রভাবশালী সেটা আমরা দেখেছি, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে চলচ্চিত্রকে বেছে নিয়েছিলেন এবং তারা অত্যন্ত সফলও হয়েছিল।

“আজকে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ নিজের দেশের সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরছেন এবং বহির্বিশ্বের সুউপাদানগুলো সংযোজন করে আমাদের চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উৎসবের পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী এবং উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামালও বক্তব্য দেন।