বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে ‘নারীবিদ্বেষী’ মন্তব্য করায় এবং চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ‘অশালীন ভাষা কথা বলা, হুমকি দেওয়ার’ ঘটনায় তুমুল সমালোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন মুরাদ।
মুরাদকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে অন্য অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গেও তার অশালীন আচরণের ঘটনা নিয়ে নতুন আলোচনা চলছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে।
একটি সিনেমার মহরতে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে মৌসুমীকে নিয়ে ‘বডি শেমিং’ করেছিলেন মুরাদ; আরেক আয়োজনে তিনি শাকিব খানের অভিনয়কে ‘তেলাপোকার’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেই সব ভিডিও এখন ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুকে।
অক্টোবরের শেষভাগে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ‘স্বপ্নের রাজকুমার’ চলচ্চিত্রের মহরতে যোগ দিয়ে মুরাদ হাসান বলেন, “কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ অসাধারণ একটি ছবি। সুপার-ডুপার হিট। মৌসুমী এখনও অভিনয় করছেন। সবই ভালো, শুধু ওয়েটটা কমাতে হবে। ফিল্মে যারা অভিনয় করবেন, তাদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, ওয়েটটার দিকে নজর রাখবেন।”
পরে ৩০ নভেম্বর ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবির অতিথির বক্তব্যে মৌসুমীকে ইঙ্গিত করে মুরাদ বলেন, “নায়িকার ভূমিকায় কেউ যদি এমন ‘মোটাসোটা’ হয়, এতে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।”
“এর আগে মৌসুমীকে নিয়ে কথা বলেছিলাম। অনেকেই মাইন্ড করেছেন। মৌসুমীকে টার্গেট করে বলেছি, তা তো নয়। আমি সবাইকে বলেছি। একজন নায়িকার ওয়েট কন্ট্রোল করতে হবে। নায়িকার ভূমিকায় কেউ যদি এমন ‘মোটাসোটা’ হয়, এতে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।”
বিষয়টি নিয়ে মৌসুমী কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও মুরাদ হাসান পদ হারানোর পর তার স্বামী, অভিনেতা ওমর সানী এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে।”
সেই সিনেমার আয়োজনে শাকিব খানকেও হেয় করে বক্তব্য দিয়েছিলেন মুরাদ।
মুরাদ বলেছিলেন, “শাকিবকে দেখলে অনেক সময় আমি দুষ্টামি করে বলি, এই তুই তো অভিনয় জানস না। তুই তো শুধু লাফাস। বস, আমার মার্কেটটা আর খায়েন না।
“রিকোয়েস্ট করে। মার্কেট খাওয়ার বিষয় না। বিষয়টা হলো যে, ছবি যখন কেউ মনযোগ দিয়ে দেখে, ওর মধ্যে যদি উপজীব্য স্টোরি, কাহিনি না থাকে তো শুধু তুমি লাফাইতেছো, নাচতেছো, গান গাইতেছো তেলাপোকার মতো, এটা তো উপভোগ করার চেয়ে পেইন লাগে।”
বিষয়টি নিয়ে শাকিব খান কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও ফেইসবুকে শাকিবভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মুরাদ।