শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় শাফিন আহমেদ জানান, ব্যান্ডটির বর্তমান লাইন আপের সঙ্গে আর যুক্ত থাকছেন না তিনি।
তিনি বলেন, “...এ বছরের শুরুতে আমি সিদ্ধান্ত নিই, মাইলসের বর্তমান লাইন আপের সঙ্গে আমার পক্ষে মিউজিকের কোন কার্যক্রম করা সম্ভব হবে না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি এই লাইন আপের সাথে মিউজিক করা থেকে বিরত থাকবো।”
১৯৭৯ সাল থেকে মাইলসের সঙ্গে পথচলা শাফিনের।
এর আগে ২০১৭ সালে অক্টোবরেও তিনি একবার ব্যান্ডটি ছাড়ার কয়েকমাস পর দ্বন্দ্ব ভুলে ফের ব্যান্ডে ফিরেছিলেন। ২০১০ সালের শুরুর দিকেও একবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ব্যান্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর কয়েকমাস পর ফের ব্যান্ডে ফেরেন।
আবারও মাইলস ছাড়ার গুঞ্জনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন শাফিন।
মাইলসের সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করতে না পারলে ব্যান্ডটির কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে শাফিন বলেন, “আমার একটা প্রত্যাশা থাকবে, মাইলস নামটার যেন কোনো অপব্যবহার না হয়। মাইলসকে নিয়ে আমরা ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ না করতে পারি তাহলে মাইলসের কার্যক্রম স্থগিত করা উচিত। এটাই আমি মনে করি, বেস্ট ডিসিশন। সুতরাং আমার প্রত্যাশা থাকবে, অন্য কেউ যেন মাইলস নামটা ব্যবহার না করেন।”
ব্যান্ডটি ছাড়লেও সংগীতের সঙ্গেই থাকার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শাফিন। তিনি বলেন, “সংগীত জগতে আমার পথচলা খুব স্বাভাবিক এবং আগের মতোই থাকবে। আমাকে স্টেজে পাওয়া যাবে, আমাকে রেকর্ডিংয়েও পাওয়া যাবে।”
সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম ও সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন আহমেদ জাতীয় পার্টির (জাপা) ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
ফরিদ রশিদের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাইলস।
মাইলসের প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’ প্রকাশ হয় ১৯৯১ সালে। তার আগে প্রকাশিত হয় দু’টি ইংরেজি গানের অ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘এ স্টেপ ফারদার’।
মাইল্স’র জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ’।