গত ১০ অক্টোবর সেন্সর বোর্ডে আবেদন করে এ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইভ এন্টারটেইনমেন্টের লিমিটেড; ২৭ অক্টোবর দেখার পর সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক প্রযোজককে পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
বৃহস্পতিবার চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে পরিচালক রুবেল আনুশ গ্লিটজকে বলেন, “এটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।”
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ (সংশোধন ২০০৬) ও ‘দ্য বাংলাদেশ সেন্সরশিপ অব ফিল্মস রুলস, ১৯৭৭’-এর ১৩ বিধি অনুসারে সিনেমাটি ‘জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়’।
সিনেমাটিকে সেন্সর সনদ না দেওয়ার কারণ হিসেবে চিঠিতে বলা হয়, “চলচ্চিত্রটির কাহিনী অসংলগ্ন ও অশ্লীল, চলচ্চিত্রটিতে যুব-কিশোরদের অনৈতিক কাজে উদ্বুদ্ধ করা ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও সংলাপ রয়েছে, মানুষের যৌন জীবনকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হলে সামাজিক শৃঙ্খলা, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সংহতি বিনষ্ট হওয়াসহ জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে।”
বিষয়টি নিয়ে পরিচালক বলেন, “বয়ঃসন্ধিকালের গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। সিনেমায় কোনো অ্যাডাল্ট সিন রাখিনি। গালাগালিগুলোও মিউট করে দিয়েছি। তারপরও সেন্সর সনদ পেলাম না। এটা একেবারেই অযৌক্তিক।”
প্রায় ছয় বছর আগে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ নামে সিনেমাটি নির্মাণ শুরু করেন রুবেল। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শিমলা ও তরুণ অভিনেতা মামুন।
পরে নাম পাল্টিয়ে ‘প্রেম কাহন’ নামে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়।
সেন্সর বিধি অনুসারে, চিঠি পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে সেন্সর বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে পরিচালক-প্রযোজকের। তবে পরিচালক বলছেন, তারা আপিল করবেন না।
“কারণ আমি যেই গল্প বলতে চেয়েছি সেটাই দর্শকদের দেখাতে চাই, কাটছাঁট করতে চাই না।”
সিনেমা হলে মুক্তির অনুমতি না পাওয়ায় ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ নামে কোনো চলতি মাসেই কোনো একটি ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেন পরিচালক।