‘সেট টপ বক্স’ না বসালে নভেম্বরের পর কেবল টিভি দেখতে সমস্যা

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে গ্রাহকরা ঘরে ‘সেট টপ বক্স’ না বসালে কেবল সংযোগের মাধ্যমে টেলিভিশন দেখার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2021, 02:09 PM
Updated : 31 Oct 2021, 02:10 PM

রোববার সচিবালয়ে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এবং ড্রিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে সভার পর একথা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের সব কেবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড করতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, “৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের সব কেবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড করার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

“কেবল অপারটেররা জানিয়েছেন, তারা ডিজিটাল ডিভাইস বসিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। এখন গ্রাহকদের সেট টপ বক্স সরবরাহ করা হবে। গ্রাহকরা এই সেট টপ বক্স না বসালে ৩০ নভেম্বরের পর টেলিভিশন দেখার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হবে।”

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহরের সঙ্গে পুরোনো ১১টি জেলা শহরের কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা হবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর ছাড়াও কুমিল্লা, বগুড়া, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, রাঙামাটি ও কক্সবাজার জেলা শহরে কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এসব অঞ্চলের সঙ্গে যশোর, গাজীপুর, নারায়ণঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনাসহ সব পুরনো জেলা শহরের কেবল নেটওয়ার্কও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

সেট টপ বক্স সরবরাহের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেট টপ বক্সের দাম এক হাজার ২০০ টাকা থেকে আরও বেশি হয়, সেট টপ বক্সের দাম কেবল অপারেটররা একসঙ্গে নেবে না, সেটি ১২ থেকে ৩০ কিস্তিতে নেবেন বলে জানিয়েছেন।

“এটা গ্রাহকদের সঙ্গে তাদের বিষয়, এটা সরকার ঠিক করে দেবে না। সরকার থেকে মনিটরিংয়েরও প্রয়োজন নেই।”

তিনি আরও বলেন, “সেট টপ বক্সের চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। চাহিদা বাড়লে দাম কমার সম্ভবনা রয়েছে। গ্রাহক যদি চান, কেবল অপারেটরের কাছ থেকে না নিয়ে নিজেই বাজার থেকে কিনে নিতে পারবেন। সেটআপ বক্স নিয়ে কাউকে মনোপলি করতে দেব না।”

বৈঠকে সরকারের নির্দেশনা মেনে ক্লিন ফিড চালুতে সহায়তা করায় কেবল অপারেটরদের ধন্যবাদ জানান হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “দেশ ডিজিটাল হলেও এখনও কেবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটাল হয়নি। ভারতে হয়ে গেছে, নেপালে ব্যাপক আকারে হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এটি করলে সবার জন্যই সুবিধা। গ্রাহকেরা ভালোভাবে টেলিভিশন দেখতে পাবেন।”

কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল না হওয়ায় সরকার প্রতি মাসে ১২৫ থেকে ১৫০ কোটি টাকা কর হারাচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “কেবল অপারেটিংয়ের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারাও কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে যেটুকু পাওয়ার কথা, তা পায় না।

“কারণ কেবল অপারেটরেরা ফিড অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালনা করে। দেখা যায় ফিড অপারেটরের গ্রাহক আছে ১০ বা ৫ হাজার কিন্তু তারা হিসাব দেয় ১ হাজারের। এভাবে তারাও বঞ্চিত হচ্ছেন।”

“আমাদের টিভি কর্তৃপক্ষও নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। তারাও জানছে না, কত দর্শক টেলিভিশন দেখছে। যখন নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে তখন কোনো চ্যানেল যদি পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায় তাদের পক্ষে সেটা সম্ভব হবে,” বলেন তিনি।