ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন।
রিতার সঙ্গে অভিযুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন শাজাহান ও ইকবাল হোসেন।
অভিযোগ গঠনের সময় তিন আসামিই আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান- তারা দোষী না নির্দোষ। তখন তিন আসামির সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
একটি পালা গানে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. ইমরুল হাসান।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, পালা গানের আসরে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে রিতা দেওয়ান ‘মহান আল্লাহকে নিয়ে চরম ধৃষ্টতা, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন’। আর তা ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার পরদিনই রিতা দেওয়ান ইউটিউবে এসে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এরপর গত বছরের ২০ অক্টোবর পিবিআই’র পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান মামলার তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ২ ডিসেম্বর আদালত রিতা দেওয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন রিতা।
ওই পালা গান নিয়ে রিতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ এনে আরেকটি মামলাও হয়েছে।