ক্লিন ফিড পাঠানো চ্যানেল না দেখালে ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে ক্লিন ফিড পাঠানো বিদেশি চ্যানেল কেবল অপারেটররা সম্প্রচার না করলে বুধবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2021, 10:52 AM
Updated : 5 Oct 2021, 10:52 AM

ফাইল ছবি

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রির স্বার্থে আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আশেপাশের সব দেশেই এ আইন কার্যকর আছ। একটি মহল নানা অজুহাতে আইন কার্যকর করতে দেয়নি।

“একটি পক্ষ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তা নয়, সেটিকে পুঁজি করে কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছিল, সেগুলো হালে পানি পায়নি। আমরা এবার বদ্ধপরিকর আইন কার্যকর করতে। কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে সেটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ক্লিন ফিড মানে হল, তাতে কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না৷ বাংলাদেশে দেখানো বিদেশি চ্যানেলে বিদেশি বিজ্ঞাপনও দেখা যায়।

তা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার পর শুক্রবার থেকে ৬০টির মতো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় দেশের পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা। তাদের ভাষ্য, এগুলোর ক্লিন ফিড তারা পাচ্ছিল না বলে বিজ্ঞাপন ছেঁটে তারা সম্প্রচার করতে পারছিল না।

এরপর তথ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় বিবিসি, সিএনএনসহ ২৪ চ্যানেল সম্প্রচারের নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, এগুলোতে কোনো বিদেশি বিজ্ঞাপন নেই। এগুলোর ফিড ক্লিন রয়েছে।  

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআইর‌্যাং টিভি, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা এইচডি, ডিডব্লিউ, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কুরান, আল সুন্না, টেন স্পোর্টস, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দুবাই স্পোর্টস, মাস্তি টিভি, বিফোরইউ মিউজিক, এমটিভি ও স্টার স্পোর্টসের চারটি চ্যানেল (১-৪) বাংলাদেশে ক্লিনফিড পাঠায়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আজকেও (মঙ্গলবার) সময় দিচ্ছি, যেসব চ্যানেল ক্লিন ফিড হিসেবে আসে, সেগুলো চালানোর জন্য। যেসব চ্যানেল ক্লিন ফিড আসা সত্বেও চালানো হচ্ছে না, সেজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগামীকাল (বুধবার) থেকে মোবাইল কোর্ট চালানো হবে। কেউ যদি কেবল অপারেটরের শর্ত না মানে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফিড ক্লিন করার ক্ষেত্রে যে জটিলতার কথা পরিবেশকরা বলছেন, তা উড়িয়ে দেন হাছান মাহমুদ।

“ফিড ক্লিন করতে প্রযুক্তি লাগবে বলে বলা হলেও সেগুলো ১০ বছর আগে লাগত, এখন খুবই সহজ। ফিড ক্লিন করে রিয়েল টাইমে সম্প্রচার না করে প্রয়োজনে ১০ মিনিট পরে সম্প্রচার করেন।”

এই পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “মিডিয়া ইন্ড্রাস্টিতে যে রকম আয়-উপার্জন হওয়ার কথা ছিল, ক্লিনফিড না থাকায় সেটি হচ্ছিল না। যখন ক্লিন ফিড বাস্তবায়িত হবে, তখন কেউ এই অজুহাত দিতে পারবে না যে ইনকাম নেই, তাই কর্মীদের বেতন দিতে পারছি না।

“আমি আশা করব, সবাই নিশ্চয় দেশের স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরবেন, যারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন তারাও নিশ্চয়ই দেশের সেন্টিমেন্ট, মানুষের সেন্টিমেন্ট অনুধাবণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সবাই আমাদের সহযোগী, সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই।”