বৃহস্পতিবার নিজের ফেইসবুক পাতায় মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে সই করার ছবি দিয়েছেন কবীর সুমন।
‘ইচ্ছে হল এক ধরনের গঙ্গাফড়িং, অনিচ্ছেতেও লাফায় খালি তিড়িং বিড়িং’- নিজের এই গানের মতোই গত বছর মৃত্যুর পরের ইচ্ছেগুলো লিখেছিলেন কবীর সুমন।
ফেইসবুকে এক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছিলেন, “আমার মৃতদেহ যেন দান করা হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে। কোনো স্মরণসভা, শোকসভা, প্রার্থনাসভা যেন না হয়। আমার সমস্ত পাণ্ডুলিপি, গান, রচনা, স্বরলিপি, রেকর্ডিং, হার্ড ডিস্ক, পেনড্রাইভ, লেখার খাতা, প্রিন্ট আউট যেন কলকাতা পুরসভার গাড়ি ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেগুলি ধ্বংস করার জন্য। আমার কোনো কিছু যেন আমার মৃত্যুর পর পড়ে না থাকে। আমার ব্যবহার করা সব যন্ত্র, বাজনা, সরঞ্জাম যেন ধ্বংস করা হয়। এর অন্যথা হবে আমার অপমান।”
দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে সই করার ছবি দিয়ে কবীর সুমন লিখেছেন, “মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গিকারপত্রে সই - গতকাল, ২২.০৯.২১ সন্ধে।”
কবীর সুমনের দেহদান করা সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তার ভক্তদের অনেকেই। ফেইসবুক পোস্টেও নিচে মন্তব্য করে সে কথা জানিয়েছেনও তারা।
নব্বই দশকের দিকে বাংলা আধুনিক গানের মোড় ঘুরিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া সেই সময়কার সুমন চট্টোপাধ্যায়, ২০০০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হন কবীর সুমন।
১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের মাধ্যমে বাংলা গানে নতুন ধারা তৈরি করা সুমন বর্তমানে বাংলা খেয়াল রচনায় নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত রেখেছেন। ‘গানওয়ালা’ কবীর সুমন প্রচলিত-অপ্রচলিত রাগে বন্দিশ রচনার পাশাপশি তৈরি করছেন নতুন রাগ।
সম্প্রতি ‘বেজে ওঠা স্মৃতি‘ শিরোনামে নিজের জীবনকথা ইউটিউবে তুলে ধরছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ছয়টি পর্ব প্রচার করেছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।