মিঠুন এখন ‘মহাগুরু’ হলেও তার পেশাজীবনের শুরুটা এমন ছিল না। তার ভাষায়, লড়াই করতে করতে বলিউডে টিকতে হয়েছিল তাকে।
রামকমল লিখেছেন, গায়ের রং, শরীরের গঠন, নাচ, অভিনয়- সব কিছু নিয়ে অকারণ সমালোচনার শিকার হতেন মিঠুন। মিঠুনের কথায়, “গায়ের রঙ নিয়ে এত কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল যে, এক সময় নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করি। কিন্তু কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় তো আমার জানা ছিল না! বাকি শারীরিক গঠন। নিজে জানতাম, নায়ক হওয়ার মতোই চেহারা আমার। অভিনয়টাও পারি। তবু দিনের পর দিন পত্র-পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশিত হত। যার ধাক্কায় বলিউড থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।”
পেশাজগতে মিঠুন যখন টালমাটাল অবস্থায়, তখন এক পরিচালক তার নাচ নিয়েও ব্যঙ্গ করেন বলে জানান মিঠুন। ওই নির্মাতা নাকি বলেছিলেন, “বাঙালিরা ধুতি পরতে পারে, কিন্তু নাচতে পারে না।”
তার ওই কথায় মিঠুন এতটাই ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন যে ‘চেহারা বদলে দেবেন’ বলে শাসিয়েছিলেন।
মৃণাল সেনের মৃগয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেকের বছরই ভারতের সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।
এরপর মুম্বাইয়ে পাড়ি জমালেও ঠিক সুবিধা করতে পারছিলেন না। কিন্তু ১৯৮৩ সালে ‘ডিস্কো ডান্সার’ মুক্তি পাওয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। তিনি বিয়েও করেন বলিউড অভিনেত্রী যোগিতাবালিকে।
চলচ্চিত্র অভিনেতা মিঠুন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি মহলে কিংবদন্তিসম হলেও তার রাজনৈতিক আদর্শ পরিবর্তন নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। এক সময়ের বাম সমর্থক মিঠুন পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে ভেড়েন।