বাবুল সুপ্রিয়ের তৃণমূলে যোগদানের খবর শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলটির টুইটার একাউন্টে দেওয়া হয়েছে।
তাতে বাবুল সুপ্রিয়র ছবিও রয়েছে, যেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সভার সদস্য ডেরেক ও ব্রায়ান।
দলবদলের পর বাবুল সাংবাদিকদের বললেন, “আমি কাজ পাগল মানুষ। বাংলার জন্য কাজ করতেই সিদ্ধান্ত বদল করলাম। এর মধ্যে প্রতিহিংসার কিছু নেই। বাংলার জন্য কাজ করার এই সুযোগ ছাড়তে চাইনি।”
আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
বাবুল সুপ্রিয়র দলত্যাগে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি বিশ্বাসঘাতকতা ও তঞ্চকতা করেছেন।
“তবে এটাও ঠিক যে, আগামী দিনে আসানসোলে উপনির্বাচন হলে বিজেপির প্রার্থীই জিতবেন ওই কেন্দ্র থেকে।”
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝির দিকে বলিউডের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন বাবুল; টালিগঞ্জেও ছিলেন জনপ্রিয়।
২০১৪ সালে হঠাৎই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল আসনে জিতে চমকও দেখান।
তখন ভারতের এই রাজ্যটিতে বিজেপির ভিত ততটা মজবুত হয়নি। পরের বার বিজেপির সাফল্যের সঙ্গে বাবুল আবারও নির্বাচিত হন।
এবার নরেন্দ্র মোদী তার মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীও করেন বাবুলকে।
কিন্তু লোকসভার সদস্য হয়েও এবছর রাজ্য বিধান সভার নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। তাতে ৫০ হাজার ভোটে হারতে হয় তাকে।
এরপর গত জুলাই মাসে মন্ত্রিসভায় রদবদলে বাবুল বাদ পড়েন।
এরপর ক্ষোভের সঙ্গে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, লোকসভার সদস্যপদও ছাড়বেন তিনি।
তখন বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডা বৈঠক করে বাবুল সুপ্রিয়কে শান্ত করেছিলেন।
কিন্তু তার দুই মাসের মধ্যেই মমতার দলে যোগ দিলেন বাবুল, যে দলটিকে এখন বিজেপির প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়ে।