বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে মারা যান।
সালমান শাহর মৃত্যুর পর তিন বছর পর ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় শাকিব খানের; এই সময়ে ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক তিনি।
সোমবার এক ফেইসবুক পোস্টে অগ্রজ নায়ক সালমান শাহকে স্মরণ করে শাকিব খান লেখেন, “শিল্পীর ভালো কাজের জন্য অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। অনুপ্রেরণা থেকে শিল্পীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন। সালমান শাহর অভিনয় দেখে, তার সিনেমা দেখে আমারও সেই অনুপ্রেরণা হতো! একটা প্রজন্মের কাছে আইডলে পরিণত হয়েছিলেন সালমান শাহ নামের সেই পরশ পাথর, যার ছোঁয়ায় বাংলা চলচ্চিত্রে বিপ্লব ঘটেছিল।
“একজন শিল্পীর মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে তার অনুসারীরা ভুলতে শুরু করেন। তবে ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর ক্ষেত্রে সেটা একেবারে বিপরীত! অকালে চলে যাওয়ার ২৫ বছর পরেও তার জনপ্রিয়তা আজও আকাশচুম্বী।”
শাকিবের ভাষ্যে, সালমান শাহ বেঁচে থাকলে ঢাকাই চলচ্চিত্র আরো বর্ণিল হত।
“৯০ এর দশকে চলচ্চিত্রে সালমান শাহর আবির্ভাব তারুণ্যের উচ্ছ্বাস তৈরি করেছিল। ভক্তদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের মানুষরাও তার স্মৃতিগুলো এখনও লালন করেন। তাই আমার কাছে সালমান শাহ হলেন ভাটির আগে উজানের ঢেউ। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো চলচ্চিত্র মাধ্যমটি আরও বর্ণিল করতে পারতেন।”
সালমান শাহর একটি ছবি ফেইসবুক পোস্ট করে হালের আরেক অভিনেতা আরিফিন শুভ লিখেছেন, “আমরা এখনও আপনাকে মিস করি।”
অভিনেতা নিরব হোসেন বলছেন, রাজবাড়ির পাংশার নূপুর সিনেমা হলে ‘জীবন সংসার’ সিনেমায় সালমান শাহর অভিনয় দেখে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন বুনেছিলেন তিনি।
এক ফেইসবুক পোস্টে হালের এ চিত্রনায়ক লিখেছেন, “৯০ দশকে আপনি চলচ্চিত্রে এসেছিলেন হ্যালীর ধূমকেতুর মতো! সিনেমাতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। পর্দায় পোশাক-পরিচ্ছেদ, সংলাপ বলার ধরণ, অভিনয় দক্ষতা সবকিছু মিলিয়ে একজন দর্শক হিসেবে আমার মনে স্থান করে নিতে সময় লাগেনি। মৃত্যুর ২৫ বছর পরেও বাংলা সিনেমার সর্বসেরা 'রোমান্টিক হিরো'দের তালিকায় আপনার স্থান উপরে।”
সালমান শাহর একটি ছবি নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলে যুক্ত করেছেন সিয়াম। শুধু চলচ্চিত্র নয়, টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পীদের মাঝেও এ চিত্রনায়ককে নিয়ে চর্চা চলে।
ছোটপর্দার অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব লিখেছেন, “কিংবদন্তীর কখনো মৃত্যু নেই৷ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই কিংবদন্তী নায়ককে।”