ইসরায়েলের জাতীয় সংগীতের সুর ‘নকলের’ অভিযোগে বিদ্রুপের মুখে আনু মালিক

ইসরায়েলের জাতীয় সংগীতের সুর নকলের অভিযোগে টুইটার ব্যবহারীদের বিদ্রুপের মুখে পড়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বলিউডি গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আনু মালিক।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2021, 07:52 AM
Updated : 3 August 2021, 07:52 AM

১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিলজালে’ সিনেমায় আনু মালিকের সুরে দেশাত্মবোধক গান ‘মেরা মুলক মেরা দেশ’-এর সঙ্গে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত ‘হাতিকভাহ’র সুরের মিল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এ সুরকারকে নিয়ে বিদ্রুপ চলছে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।

রোববার টোকিও অলিম্পিকের জিমন্যাস্টিক বিভাগে ইসরায়েলের প্রতিযোগী আরতেম দলগোপিয়াট সোনা জেতার পর প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী স্টেডিয়ামে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

বলিউডি সিনেমার অনেক দর্শকদের তখন ওই সুর পরিচিত মনে হতে থাকে। পরে আবারও আলোচনায় আসেন আনু মালিক। অজয় দেবগন অভিনীত ‘দিলজালে’ সিনেমায় ‘মেরা মুলক মেরা দেশ’ গানে একই রকম সুর তিনি করেছিলেন।

এরপর ইসরায়েলের জাতীয় সংগীতের একটি ‘ক্লিপ’ টুইটারে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্রুপের তীর রীতিমত ট্রেন্ডিং তালিকায় তুলে দেয় ৬০ বছর বয়সী গায়ক আনু মালিককে, যার বিরুদ্ধে এর আগেও সুর নকলের অভিযোগ উঠেছিল।

এ অভিযোগ নিয়ে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে কিংবা কোনো গণমাধ্যমে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি এ সুরকার।

একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বলিউড দিনে পর দিন কীভাবে শ্রোতাদের বোকা বানিয়ে এসেছে এটি তার একটি উদাহরণমাত্র। এমনকি ইসরায়েলে জাতীয় সংগীতের সুরও কপি করতে বাকি রাখেননি কথিত শিল্পী আনু মালিক।”

বিদ্রুপ করে আরেকজন লিখেছেন, “আনু মালিক সহজেই গানটি কপি করেননি। তাকে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করতে হয়েছে কোন দেশের অলিম্পিকে সোনা জেতার সম্ভাবনা কম।”

৪০ বছর ধরে বলিউডের সিনেমায় গান করছেন আনু মালিক। ২০০০ সালে রিফিউজি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনায় জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান নব্বইয়ের দশকের আলোচিত এ গায়ক, সুরকার।

এর আগে আনু মালিকের ‘দিল মেরা চুরায়া কিয়ুন’, ‘নেশা ইয়ে পেয়ার কা নেশা-এর মতো জনপ্রিয় গানেও নকলের অভিযোগ উঠেছিল।