পরিচালক সমিতির সভাপতি পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারির পর বুধবার দুপুরে পরিচালক সমিতির বৈঠকে চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে এফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া জানান, আগামী সাতদিন এফডিসির দাপ্তরিক কার্যক্রমের সঙ্গে এফডিসিতেও সব ধরনের শুটিং বন্ধ থাকবে।
লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারির পর বুধবার নাটকের সংগঠনগুলো নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছিলেন, প্রজ্ঞাপনে শুটিং নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো নির্দেশনা না থাকায় শুটিংয়ের বিষয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের কোনো খবর না মিললেও টিভি নাটকের শুটিংয়ের খবর এসেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সভাপতি অভিনেতা-প্রযোজক ইরেশ যাকের জানান, টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতিপত্র ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা নাটকের শুটিং আপাতত চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র-১) মো. সাইফুল ইসলামের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
কোন প্রক্রিয়ায় শুটিং হচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে ইরেশ বলেন, “পুলিশ প্রশাসন আমাদের বলেছে, টিভি চ্যানেলের অনুমতিপত্র ও সাংগঠনিক পরিচয়পত্র থাকলে আমাদের কোনো ঝামেলা করবে না। টিভি চ্যানেলগুলোর অনুমতিপত্র পেয়েছি; সঙ্গে সংগঠনের পরিচয়পত্র রাখছেন সদস্যরা। আমাদের মিডিয়া সার্ভিসের আওতায় পড়েছে।”
দুপুর পর্যন্ত শুটিং করতে গিয়ে কোনো ধরনের ‘ঝামেলার’ খবর পাননি বলে জানান তিনি; যতটা সম্ভব জনসমাগম কমিয়ে সীমিত পরিসরে শুটিংয়ের নির্মাতা-শিল্পীদের কথা বলা হয়েছে বলে জানান এক প্রযোজক।
শুটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ইরেশ বলছেন, “টিভি নাটকের কলাকুশলীদের মধ্যে যারা দৈনিক কাজের ভিত্তিতে আয় করেন তাদের পুরো বছরের বড় একটা অংশ ঈদের নাটক থেকে আসে। ঈদের আগের তিন সপ্তাহে কোনো কাজ না করলে প্রযোজক কিংবা প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীদের খুব একটা ক্ষতি না হলেও তারা সঙ্কটে পড়বেন।”