বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের সংগঠন অ্যাডভার্টাইজিং ফিল্ম মেকারস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী জানান, শিগগিরই তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান তারা।
অমিতাভ রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নীতিমালায় বেশ কিছু ‘অস্পষ্টতা’ রয়েছে; সেগুলো নিয়ে তথ্য মন্ত্রীর আলোচনা করলে সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে আশা করছেন তারা।
এর আগে রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলে প্রত্যেক বিদেশি শিল্পীর জন্য সরকারকে ২ লাখ টাকা করে দিতে হবে নির্মাতাদের। আর যে টেলিভিশনে ওই বিজ্ঞাপন দেখানো হবে, তাদের দিতে হবে ২০ হাজার টাকা।
গত ৩১ মে প্রকাশিত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দেশীয় চলচ্চিত্রে বিদেশি অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী, সংগীতজ্ঞ, সংগীতশিল্পী ও বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণসংক্রান্ত নীতিমালা ২০২১ (সংশোধিত) এ বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে।
নীতিমালার ‘অস্পষ্টতার’ বিষয় তুলে ধরে অমিতাভ রেজা বলেন, “বিদেশি শিল্পীর ফি কি ক্লায়েন্ট দেবে, কখন দেবে? ধরেন, কোরিয়ান এক লোককে এনে শুটিং করলাম, কিন্তু সেটা কোথাও চালালাম না, তখন টাকাটা কে দেবে? নীতিমালায় তা পরিষ্কার করা হয়নি। এটার প্রক্রিয়াটা কী?
“দেশীয় সংস্কৃতি, দেশীয় ব্যবসা, দেশীয় শিল্পীরা যাতে লাভবান হয়; তাদের সবাই যাতে বিকশিত হয় সেই চেষ্টার জন্য সরকারের সঙ্গে বসতে হবে। নীতিমালার সুষ্ঠু এক্সারসাইজ খুব জরুরি।”
গত ১৫ বছরে দেশের বাইরে থেকে খুব বেশি মডেলকে আনার প্রয়োজন হয়নি বলে জানান অমিতাভ। তবে প্যাকশট স্পেশালিস্ট ও কালার কারেকশনের জন্য দেশের নির্মাতারা বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে যান।
“তাহলে এখন আমরা কী করব? কাজ বন্ধ থাকবে? এটার সমাধান হওয়া উচিৎ।”
অ্যাডভার্টাইজিং ফিল্ম মেকারস অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাডফা) সভাপতি নির্মাতা আদনান আল রাজীব বলছেন, পাশাপাশি বিদেশি মডেলদের দেশে আনার বিষয়ে অনুমতির বিষয়টি আরও দ্রুত ও সহজতর করার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তারা।