তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে মোশন পিপল স্টুডিও লিমিটেড ও স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট।
বাংলাদেশে গড়ে উঠা প্রযুক্তি প্রজন্মের গল্পে ছবিটি নির্মাণ করছেন দীপন; যার নির্মাণে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার আরেক চলচ্চিত্র ‘অপারেশন সুন্দরবন’।
‘অন্তর্জাল’র গল্প নিয়ে দীপন গ্লিটজকে বলেন, “হ্যাকাথনকে ঘিরে এ সিনেমার গল্প। অনেকে ভাবছেন, এটা হ্যাকারদের গল্প; বিষয়টি তা নয়। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে প্রোগ্রামরা আসেন, ক্যাম্প করে একসঙ্গে দুই-তিনদিন থাকেন।
“হ্যাকাথন থেকে উঠে আসা একদল তরুণ বাংলাদেশের বড় একটি সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, সমস্যাটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন- সেটাই পর্দায় তুলে আনা হবে। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের যে প্রযুক্তি প্রজন্ম গড়ে উঠে এটি আসলে তাদেরই গল্প।”
পরিচালনার পাশাপাশি ছবির চিত্রনাট্যও লিখেছেন দীপন; সংলাপ লিখেছেন মো. সাইফুল্লাহ রিয়াদ। গল্প উন্নয়নে আশা জাহিদসহ একটি টিম কাজ করেছেন।
২০১৯ সালে ডিসেম্বরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ছবিটিকে চূড়ান্ত করার পর যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক ঘুরে তরুণদের সঙ্গে কথা বলে গল্পের চরিত্র নির্বাচন করেছেন দীপন।
কারিগরি বিষয়গুলো নির্ভুলভাবে পর্দায় তুলে আনতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে একটি অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠন করা হয়েছে; তারাই বিষয়টি দেখভাল করছেন।
কারিগরি বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের কাছে সহবোধ্যভাবে তুলে ধরার জন্য সিআইডি, ডিএমপির সাইবার ইউনিট, বিভিন্ন ব্যাংকের সফটওয়ার যারা পরিচালনা করেন তাদের সহযোগিতা নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
দীপন বলেন, “গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ডিজিটালি এতটা এগিয়ে গেছে তা আমার জানা ছিল না। বিষয়টি নিযে কাজ করতে গিয়ে অনেক নতুন কিছু জেনেছি। সেখান থেকে মুভিতে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু বেছে নিয়েছি।”
ছবির অভিনয়শিল্পী হিসেবে সিয়াম আহমেদ ও সুনেরাহ বিনতে কামালের নাম খবরে এলেও দীপন বলছেন, এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
ছবির দৃশ্যধারণ আরও আগে শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে গেছে; পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে চলতি মাসেই দৃশ্যধারণ শুরু করতে চান নির্মাতা।
বাংলাদেশের বাইরে মুম্বাই ও তুরস্কেও ছবির দৃশ্যধারণ হবে।