৭৭ বছর বয়সী আবুল হায়াত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে কয়েকদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন; গত ১৮ এপ্রিল করোনাভাইরামুক্ত হয়েছেন তিনি।
আবুল হায়াত জানান, তিনি এখন ভালো আছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় আছেন। চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করছেন।
এর আগে আরেক প্রবীণ অভিনেতা প্রবীর মিত্রও করোনাভাইরাস জয় করে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন অভিনেত্রী, নির্মাতা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক আফসানা মিমি।
গত ২৪ মার্চ করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় মিমির রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ এলে হাসপাতালে ভর্তি হন। মূলত তার বাবাকে নিরাপদে রাখতেই তিন সপ্তাহের মতো হাসপাতালে ছিলেন মিমি। সম্প্রতি করোনাভাইরাস রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসার পর বাবার কাছে ফিরেছেন তিনি।
ওমর সানী ছাড়া ছেলে, মেয়ে ও ছেলের বউসহ সপরিবারে আক্রান্ত হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ওমর সানী আলাদা বাসায় নিজেকে আইসোলেমনে রেখেছিলেন।
মৌসুমী জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়েছেন তারা; তারা সুস্থ হওয়ার পর ওমর সানীও তাদের মাঝে ফিরেছেন।
এছাড়াও তারকা দম্পতি শহীদুজ্জামান সেলিম-রোজী সিদ্দিকী, পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীও সম্প্রতি সেরে উঠেছেন।
এর আগে জুয়েল আইচ, আজিজুল হাকিম, তাহসান, অপূর্বসহ আরও কয়েকজন সেরে উঠেছেন।
আক্রান্ত যারা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন চিত্রনায়ক এম এ আলমগীর।
লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও তিনি এখনও কোভিড পজিটিভ; চিকিৎসকের পরামর্শে তার চিকিৎসা চলছে।
অভিনেতা নাসিম সপরিবারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।