বাবার স্মৃতিগুলো বেঁচে থাকুক: কুণাল সেন
সাইমুম সাদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 12 Apr 2021 12:42 PM BdST Updated: 12 Apr 2021 12:42 PM BdST
ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের চিঠি, স্থিরচিত্র ও পুরস্কারসহ বেশ কিছু স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে দিয়েছেন তার ছেলে কুণাল সেন।
Related Stories
সোমবার শিকাগো থেকে কুণাল সেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তার বাবার স্মৃতিগুলো সংরক্ষণের জন্য শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় বেশ আগেই আগ্রহ দেখিয়েছিল। তাকে লেখা বাবার চিঠি, স্থিরচিত্র ও পুরস্কারসহ বেশ কিছু নথি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে জমা দিয়েছেন তিনি।
বছরখানেক আগেই সেগুলো জমা দেওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়েছে বলে জানান কুণাল।

শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অব ইলিনোয় থেকে মেশিন লার্নিংয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) উপর পিএইচডি সম্পন্ন করে সেখানেই সপরিবারে থিতু হয়েছেন কুণাল সেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্মৃতিগুলো অন্যদের দিলে হয়তো আলমারিতেই পড়ে থাকত। আমি চেয়েছি, যতদিন সম্ভব বাবার স্মৃতিগুলো বেঁচে থাকুক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে সেগুলো জমা দিয়ে আমি অন্তত নির্ভার হয়েছি।”
এর আগে শনিবার ফেইসবুকে লেখা এক চিঠিতে কুণাল জানান, তারও বয়স বাড়ছে; সেকারণে বাবার শেষ স্মৃতিগুলোও বেশিদিন সংরক্ষণ করতে পারবেন না। শতবর্ষ পরও কেউ যদি তার বাবাকে জানতে আগ্রহী হন তাহলে শিকাগো বিশ্ববিদ্যারয়ে গিয়ে তা দেখতে পাবেন।
এসব স্মৃতির পাশাপাশি মৃণাল সেনের চলচ্চিত্রগুলোও বাঁচিয়ে রাখা জরুরি বলে মনে করেন কুণাল।

১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরের ঝিলটুলীর বাড়িতে জন্ম নেন মৃণাল সেন; মাধ্যমিকের পড়াশুনা শেষে বাবার সঙ্গে কলকাতায় পাড়ি জমান তিনি।
১৯৫৫ সালে ‘রাত ভোর’ চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে মৃণাল সেনের। তার আগে ১৯৫০ সালে ‘দুধারা’ নামে একটি সিনেমা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরিচালক হিসেবে নাম রয়েছে ‘অনামী’। এই ছবিটির কাহিনীও ছিল মৃণালের।

দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘নীল আকাশের নীচে’ তাকে আপামর দর্শকের সঙ্গে সুপরিচিত করে তোলে। তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘বাইশে শ্রাবণ’ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পান। ১৯৬৯ সালে তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ভুবন সোম’ মুক্তি পায়।
তিনি ‘ইন্টারভিউ’, ‘ক্যালকাটা ৭১’, ‘পদাতিক’ চলচ্চিত্র তিনটির মাধ্যমে তৎকালীন কলকাতার অস্থির অবস্থাকে তুলে ধরেছিলেন। মধ্যবিত্ত সমাজের নীতিবোধকে তুলে ধরে নির্মাণ করেন ‘এক দিন প্রতিদিন’ ও ‘খারিজ’।
‘খারিজ’ ১৯৮৩ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার পায়। ১৯৮০ সালে মৃণাল সেনের চলচ্চিত্র ‘আকালের সন্ধানে’ মুক্তি পায়। ‘আকালের সন্ধানে’ ১৯৮১ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার জয় করে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মৃণাল সেন।
-
পরম-স্বস্তিকার বাম-কংগ্রেস রাজনীতি নিয়ে ‘শিবপুর’
-
ঢাবি নাটমণ্ডলে নতুন নাটক ‘দ্য আইসম্যান কমেথ’
-
ঈদের সিনেমা: ‘দিন: দ্য ডে’ চূড়ান্ত, মুক্তির পরিকল্পনায় ‘পরাণ’
-
এক ভিলেন রিটার্নসের পোস্টারে জন আব্রাহাম ও দিশা পাটানি
-
মিশন এক্সট্রিমের সিক্যুয়েল ‘ব্ল্যাক ওয়ার’
-
আমের জন্য মাধুরীর ভালোবাসা
-
এলো ‘কাইজার’র ট্রেইলার
-
তৃতীয় মেয়ের মা হলেন ন্যানসি
সর্বাধিক পঠিত
- যা হচ্ছে, তার জন্য নূপুর শর্মা দায়ী: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
- বাঘাইড় বিক্রি করায় সুপার শপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলা
- পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতকারী বাসের ভাড়া বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালককে মারধর: জবি ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত
- হলি আর্টিজানের সেই রাত যেভাবে বদলে দেয় বাংলাদেশকে
- আবরার ফাহাদের ভাই বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
- পদ্মা সেতু: যশোর তাকিয়ে কালনা সেতুর দিকে
- নাঈমের ৫ উইকেট, সৌম্যর ৮১
- সাদা বলের নেতৃত্বে ফিরলেন রোহিত, ওয়ানডে দলে জাদেজা-হার্দিক