একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর চিরবিদায়

একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা, লোকসংগীত শিল্পী ও গবেষক ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা গেছেন।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2021, 05:43 AM
Updated : 18 Dec 2021, 06:57 PM

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন।

জুলফিকার আহমেদ আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি করোনাভাইরাসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপেও ভুগছিলেন। সোমবার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে মহাখালীর মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে ভর্তির পর তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল বলে জানান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর। পরে মালিবাগের আরেকটি হাসপাতাল হাসপাতাল ঘুরে ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে বিএসএমএমইউ নেওয়া হয়।

তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রকাশ করেছেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান পরিবেশ করেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে ২০১৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।

তিনি ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মুর্শিদি গান চর্চার পাশাপাশি লোকগান সংগ্রহ করে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।

তিনি সংগীত কলেজের দীর্ঘদিন লোকসঙ্গীত বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ লোকসংগীত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৬৭ সালে ‘চেনা অচেনা’ চলচ্চিত্রের গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী।

তিনি দুই সন্তানের জনক; ছেলে দীপংকর রাজবংশী থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়, মেয়ে সংগীতা রাজবংশী থাকেন জাপানে। তার স্ত্রী দীপ্তি রাজবংশীও বর্তমানে অসুস্থ।

একাত্তরের এ কণ্ঠযোদ্ধাকে বুধবার বিকাল চারটায় রাজারবাগ কালী মন্দির মহাশ্মশানে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে বলে জানান ফকির আলমগীর; তারপর সেখানে তার শেষকৃত্যের আয়োজন করা হবে।