কণ্ঠযোদ্ধা নমিতা ঘোষের জন্য ‘গার্ড অব অনার’

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী নমিতা ঘোষের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়েছে; পরিবারের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অশ্রুজলে শেষ বিদায় জানিয়েছেন তাকে।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2021, 10:45 AM
Updated : 27 March 2021, 10:45 AM

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপুরে তার মরদেহ পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজার শণি মন্দির প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়; জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। দুপুর সোয়া একটায় একাত্তরের এ কণ্ঠযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানিয়ে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।

এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের তরফ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় এ শিল্পীকে।

পরে দুপুর ২টার দিকে নমিতা ঘোষের মরদেহ পোস্তগোলা শ্মশানে নেওয়া হয়; সেখানে তার শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে।

নমিতা ঘোষ মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে প্রথম নারী শিল্পী হিসেবে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করেছেন।

নমিতার মা জসোদা ঘোষ সে সময় রেডিওতে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করতেন। ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরু হলে ২৭ মার্চ বুড়িগঙ্গা পেরিয়ে কেরাণীগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা দিয়ে আখাউড়া সীমান্ত পার হন তারা।

নরসিঙ্গরে শিল্পী আব্দুল জব্বার ও আপেল মাহমুদের সঙ্গে দেখা হয় নমিতার। তখন সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে গান গেয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল।

আগরতলায় থাকতেই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রের কাজে যুক্ত হন নমিতা। পরে সেই প্রামাণ্যচিত্র যুদ্ধের সময় ভারতের বিভিন্ন সিনেমা হলে দেখানো হয়।

মে মাসে মায়ের সঙ্গে আগরতলা থেকে বিমানে করে কলকাতায় পৌঁছান নমিতা। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম প্রেস সচিব, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আমিনুল হক বাদশার উৎসাহে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে।