জয়া আহসানের ইন্সটাগ্রামের পোস্ট নিয়ে ক্ষোভ

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জয়া আহসানের ইন্সটাগ্রামের পোস্টে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাপাশি অনেকেই ক্ষোভ ঝেরেছেন।

৫০ পঞ্চাশ বছর আগে ২৫শে মার্চ রাতে সাধারণ মানুষের ওপর পাকিস্তান বাহিনীর হামলে পড়ার ভয়াল রাত স্মরণ করে নিজের ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।

তিনি লেখেন, “চরমতম নিষ্ঠুরতায় ঠিক আজকের দিন থেকে পাকিস্তানিরা শুরু করেছিল গণহত্যা, বাঙালিদের বিরুদ্ধে, ঠিক ৫০ বছর আগে।”

তারপর অপারেশন সার্চলাইট থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা- সবকিছুই স্বল্প লেখায় তুলে ধরেন তিনি।

এরপর মাথা উঁচু করে বাংলাদেশ ঘুড়ে দাঁড়িনোর কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “গণহত্যার রক্তাক্ত ধাপ পেরিয়ে মাথা উঁচু করে আছে বাংলাদেশ। যে জনতা মুক্তির স্বপ্নে মৃত্যুকে পেরিয়ে যাওয়ার সাহস দেখায়, গণহত্যার কী সাধ্য তাকে নিশ্চিহ্ন করে। শহীদদের অনন্ত শ্রদ্ধা।”

এই পোস্টের নিচে তার ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথামালায় ভরে যায় ‘কমেন্ট বক্স’। তবে কিছু নেটনাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করতেও ছাড়েনি।

বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতাতেও ব্যস্ত এই অভিনেত্রীর কাছে ওপার বাংলার মানুষদেরও হয়ত প্রত্যাশা বেশি। তাই হয়ত সেখানকার ভক্তদের ক্ষোভ প্রকাশের মাত্রাটাও অন্যরকম।

ছবি আনন্দবাজার ডটকম থেকে

তার এই পোস্ট ধরে আনন্দবাজার অনলাইন জানায়, “নেটাগরিকরা যেন অপেক্ষা করে বসেছিলেন। পোস্ট পড়তে না পড়তেই ঘপাৎ!”

“কারও বক্তব্য, ‘আক্ষেপ এটাই যে বাংলাদেশিরা এখনও পাকিস্তানকে ঘৃণার চোখে কেনো দেখতে পারেনা…’। কারও প্রশ্ন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কম কেন’? শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের নাগরিকরদের ‘ভাইজান’ সম্বোধন করা নিয়েও আপত্তি জানালেন এক নেটাগরিক।”

স্বাধীনতা দিবসের দিনেও জয়া আহসান আরেকটি পোস্টে বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার স্মৃতিচারণ করেন তিনি।

যেখানে তিনি লেখেন, “আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি আমার বাবার গল্পে; প্রাণ নিবেদন করা বহু মুক্তিযোদ্ধার কাহিনীতে; পীড়িত নারীর আর্তিতে; বিদেশী বন্ধুদের হাতের আবাহনে; আকাশে উড়ন্ত লাল–সবুজে।”