ব্যাংককের সামিতিভেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে বলে এক ফেইসবুক পোস্টে জানান ভক্তদের কাছে ‘বেজবাবা’ নামে পরিচিত এ গিটারিস্ট।
ক্যানসারের পাশাপাশি কয়েক বছর ধরেই স্পাইনাল কর্ডের জটিলতায় ভুগছেন তিনি; অস্ত্রোপচার করতে জার্মানি যাওয়ার কথা থাকলেও মহামারীর ফাঁদে যেতেন পারেননি সুমন।
মহামারীর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় চিকিৎসার বাইরে থাকায় নিয়মিত চেকআপ করাতে তিনি ব্যাংকক গেছেন বলে সুমনের এক ঘনিষ্টজন জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুমনের অবস্থা গুরুত্বর নয়; তিনি ভালো আছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর চেকআপের আগে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে তাকে আইসিইউতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ভক্তদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই; চেকআপ শেষে তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন।
২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে ব্যাংককে এক সড়ক দুর্ঘটনায় সুমনের মেরুদণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর থেকেই স্পাইনাল কর্ডের জটিলতায় ভুগছেন।
এর আগে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে তার মেরুদণ্ডে দুটি অস্ত্রোচারের পরও জটিলতা না কাটায় বেশ কয়েকবার জার্মানির জাহনা ক্লিনিকুম অফেনবাখ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে।
২০০৯ সালে তার মেরুদণ্ডে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে তা শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসা চলাকালীনই তিনি গিটার হাতে কণ্ঠে গান তুলেছেন। সবশেষ ২০১৬ সালে প্রকাশ হয় অর্থহীনের সপ্তম অ্যালবাম ‘ক্যান্সারের নিশিকাব্য’।
‘ফ্রিকোয়েন্সি’ নামের একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সংগীত জীবন শুরু করেন সুমন। ১৯৯০ সালে থেকে তিনি দেশের নানা ব্যান্ডে বেইজ বাজিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ফিলিংস, ওয়ারফেইজ।
তিনি প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন ১৯৯২ সালে। এ পর্যন্ত তার তিনটি একক অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৯৯ সালে ‘অর্থহীন’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন। অর্থহীনের অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছেন সাতটি।