তবে গ্লিটজের ক্যামেরাতে তিনি ধরা পড়লেন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সঞ্চালক হিসেবে।
প্রথমবার যে করছেন তা নয়। সম্প্রতি চলমান ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার সঞ্চালনার গুরু দ্বায়িত্ব পড়েছে এই তরুণ উপস্থাপকের ওপর। এর আগে অন্য একটি রিয়্যালিটি শো এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতারও সঞ্চালনায় ছিলেন।
নিজের ‘চলমান ক্যারিয়ার’য়ে ইস্তফা টেনে- অর্থাৎ আপাতদৃষ্টিতে ‘ভালো চাকরি’ ছেড়ে মিডিয়া ও খেলাতে কোমর বেঁধে নামা এই তরুণের যাত্রার পথে গ্লিটজের আমন্ত্রণে ছোট্ট করে জানালেন তার বর্তমান অবস্থা।
আলাপের শুরুতেই জানিয়ে দিলেন এই তরুণ, বেশ বছর কয়েক আগে ‘ইউ গট দ্যা লুক’ প্রতিযোগিতার অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন।
সেই থেকেই কি তবে এই প্রতিযোগিতার প্রতি ঝোঁক?
সাবির হেসে বলেন, “তা তো বটেই। কিন্তু আমার কাছে খেলার আর অন্য অনুষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য নেই। বিশ্বজুড়ে খেলা এখন বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। খেলার অনুষ্ঠানেও চেষ্টা করি হাস্যরস দিয়ে বিষয়টিকে উপস্থাপন করতে।”
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
তিনি যোগ করেন, “সব কিছুরই দরকার আছে। এই প্রতিযোগিতা আছে ও ছিল বলেই আমরা অনেক মেধাবী পেয়েছি। যেমন অপি করিম, বিদ্যা সিনহা মীম। মীম তো নিজেই বিচারক এখন। তাই কোনো কন্টেনটই আসলে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিষয় হল- আমরা কে কীভাবে সেটাকে উপস্থাপন করছি।”
সাবিরের মতে উপস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের পেছনে মেধা এবং পড়ালেখার দরকার আছে বৈকী।
তিনি বলেন, “আমি বিষয়টা নিয়ে খুব সিরিয়াসলি কাজ করি। সেটা সাকিব আল হাসান হোক বা আজকের আনকোড়া কোনো মুখ হোক। চেষ্টা করি ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে কাজটি করার।”
এরপরেই স্বাভাবিকভাবেই ছেলেদের উপস্থাপনায় কম দেখার বিষয়টি আসতেই সাবিরের উত্তর, “ছেলেদের উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে অবশ্যই স্পনসরদের ভূমিকা আছে। এই বিষয়ে আমার অবস্থান হল, মেধা যাচাই আগে জরুরি। সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে। যোগ্যতা সমান হলে এরপর গ্ল্যামার বিবেচনা করা দরকার।”
তবে জায়গাটা তৈরি করে নিতে হয়। ‘রিস্ক’ও নিতে হয়।
আর সেজন্য নিজের মা ও স্ত্রীকে উৎসাহের উৎস হিসেবে মনে করেন। তাদের জন্যেই তিনি ‘রিস্ক’ নিতে পেরেছেন।
সব কিছুর ওপরে ‘কঠোর পরিশ্রম’কে ঠাঁই দিতে চান সাবির।
বিশেষ করে ২০২০ সালের বৈশ্বিক বিপর্যয়ের পর ‘রিস্ক’ আরও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে মিডিয়া-কর্মীদের জন্য। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জীবিকার দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।
তারপরেও কাজী সাবির বলেন, “থেমে থাকার জন্য কেউ স্বপ্ন দেখে না। স্বপ্ন আছে বলেই সেটা সার্থক করার তাড়না আছে। যারা কাজ করবে, করতে চায়, তারা যেন ফেইমটাকে গুরুত্ব না দিয়ে কাজটাকে গুরুত্ব দেয়- এতটুকুই চাই। কারণ এই যাত্রাটা অনেক বড়, সেখানে টিকে থাকাই আসল।”