বৃহস্পতিবার আমেরিকান টেলিভিশন চ্যানেল ‘এবিসি’র ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে টেইলর সুইফট এই ঘোষণা দেন। আর সেই রাতেই অ্যালবামের জনপ্রিয় গান ‘লাভ স্টোরি (টেইলর’স ভার্সন) মুক্তি দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে টেইলর বলেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে ‘ফিয়ারলেস’ অ্যালবামের ‘লাভ স্টোরি’ গানটা প্রকাশ করা হবে। এটা আমি নতুন করে আমার ঢংয়ে তৈরি করেছি।”
রয়টার্স জানায়, ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফিয়ারলেস’ অ্যালবামটি ছিল সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবাম। মুক্তি পাওয়ার পরপরই অ্যালবামটি বিলবোর্ড ২০০ অ্যালবাম তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে। অ্যালবামটির ৫,৯২,৩০৪ কপি বিক্রয়ের পরিমাণ ২০০৮ সালের অন্য যেকোনো কান্ট্রি সংগীত শিল্পীর প্রকাশিত অ্যালবামের চেয়ে বেশি।
তবে এত বছর পরে কেনো নতুন করে গাইলেন পুরানো গান? কারণ একটাই, এত জনপ্রিয় একটা অ্যালবামের কোনো গানই তার নিয়ন্ত্রণে ছিল না।
সাধারণত শিল্পী যে সংগীত প্রতিষ্ঠান থেকে গান প্রকাশ করে সেটার নিয়ন্ত্রণ থাকে সেই প্রতিষ্ঠানের হাতে। শিল্পী শুধু বিক্রির মূল্যের ওপর রয়্যালটি পায়।
আর এই কারণে নতুন করে গানগুলো গেয়ে এখন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলেন সুইফট।
সিএনএন’য়ের একটি প্রতিবেদনে এই বিষয়ে ‘ইউনিভার্সিটি অফ মায়ামি ফ্রোস্ট স্কুল অফ মিউজিক’য়ের মিউজিক বিজনেস প্রোগ্রামের পরিচালক সেরোনা এলটন বলেন, “সুইফটের হাতেই এখন গানগুলোর নিয়ন্ত্রণ এসে গেছে। যদিও আগের গানগুলোর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কোনো পরিবর্তন হবে না।”
“নতুন করে গান রেকর্ডিং করার এই বিষয়টা দারুণ কৌশল।” বলেন এলটন।
অ্যালাবামে পুরান গান ছাড়াও থাকছে নতুন ৬টি গান।
এই সম্পর্কে টেইলর তার টুইটারে ভিডিও বার্তায় বলেন, “শ্রোতাদের পুরান গানের পাশাপাশি নতুন স্বাদ দিতে অ্যালবামে ৬টি নতুন গান রয়েছে। যা আগে সিন্দুক থেকে বের করাই হয়নি।”
সেই হিসেবে ২৬টি গানের অ্যালবাম হচ্ছে ‘ফিয়ারলেস’। মু্ক্তি পাবে ৯ এপ্রিল।