বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে সুযোগ পেয়ে গর্বিত ভারতীয় অভিনেতা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অবলম্বনে নির্মিতব্য ‘বঙ্গবন্ধু’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে গর্ববোধ করছেন ভারতীয় অভিনেতা শিবাজি সেনগুপ্ত; যিনি মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে টালিগঞ্জের ‘আমি সুভাষ বলছি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রের দর্শকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2021, 08:02 AM
Updated : 11 Feb 2021, 08:02 AM

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করছেন বলিউড নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল; এতে বঙ্গবন্ধুর গ্রাম্যবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিবাজি।

ভারতের মুম্বাই থেকে টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মহান নেতার বায়োপিকে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণভাবে গর্ববোধ করছি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি; আমার জীবন ধন্য। ছবিটি আমার জীবনের একটি অ্যাসেট হয়ে থাকবে।”

শিবাজির পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের বিক্রমপুরে। দেশভাগের আগে তার বাবা আসামে পাড়ি জমান। কলকাতা হয়ে পরবর্তীতে এয়ার ইন্ডিয়ায় চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন তিনি।

শেকড়ের টানেই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রতি আলাদা ভালোবাসা অনুভব করেন বলে জানান শিবাজি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে বললেন, “তার প্রতি প্রতিটি বাঙালির আলাদা সম্মান রয়েছে। তিনি বাঙালির গর্ব। নেতাজির পর আমাদের তিনি একজনই আছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কলকাতার পত্রিকায় খবর বেরোলে সেগুলো বাবা করে কাটিং করে যত্ন করে রাখতাম আমরা।”

ছবির ভারত অংশের কাস্টিং ডিরেক্টর শ্যাম রাওয়াত যখন তাকে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কাজের প্রস্তাব পেলেন তখন শিবাজি বলেছিলেন, ছবির একটা পাসিং শটে কাজের সুযোগ পেলেও তিনি করতে চান। পরে তাকে একটি চরিত্রেই চূড়ান্ত করা হয়েছে।

৩০ জানুয়ারি গোরেগাঁও ফিল্ম সিটিতে দিনভর দৃশ্যধারণে অংশ নিয়েছেন শিবাজি; তার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর চরিত্রের অভিনয়শিল্পী রাইসুল ইসলাম আসাদ।

“আসাদ সাহেব একজন জেন্টেল লোক। এ রকম অসাধারণ মানুষ আমি কখনো দেখিনি; তাকে আমি ভুলব না। তিনি খুব সহযোগিতা করেছেন কাজের ক্ষেত্রে আমাকে।”

কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে ভালো সখ্যতাও তৈরি হয়েছে তার। বিশেষ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আগে থেকেই তার যোগাযোগ ছিল; একই চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে সম্পর্কটা আরও গাঢ় হয়েছে।

ভারতের বাংলা ও হিন্দি ভাষার মঞ্চনাটকের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা শিবাজির এটি দ্বিতীয় চলচ্চিত্র; এর আগে মহেশ মাঞ্জেকারের পরিচালনায় ‘আমি সুভাষ বলছি’ চলচ্চিত্রে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

শৈশবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল তার। পরবর্তীতে মুম্বাইয়ে একাধিক মঞ্চনাটকের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। করেছেন বেশ কিছু ডেইলিও সোপও।