এআর রহমানের টুকটাক

‘মাদ্রাজ মোজার্ট’ হিসেবে খ্যাত এআর রহমানের রয়েছে অদ্ভূত কিছু বিষয়।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2021, 07:08 AM
Updated : 7 Jan 2021, 07:08 AM

১৯৯২ সালে ‘রোজা’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে রুপালি জগতে যাত্রা ‍শুরু করা ভারতীয় সংগীত শিল্পী এআর রহমানের জন্মদিন ৬ জানুয়ারি।

মাদ্রাজে জন্ম বলে তাকে ‘মাদ্রাজ মোজার্ট’ হিসেবে ডাকা হয়। আবার তামিল ভক্তদের ভাষায় তিনি ‘মিউজিকের ঝড়’।

জন্মদিবস উপলক্ষ্যে তার এরকম আরও চমকপ্রদ বিষয় তুলে ধরেছেন আরাফাত শান্ত।

* অমানুষিক পরিশ্রম করেন প্রতিটা গানের পেছনে। একটা গানই ৩০-৪০ বার তৈরি করার পরও ভালো না লাগলে আবার নতুন করে শুরু করেন।

* তার বাসায় একমাত্র সিনেমা পরিচালক মনিরত্নম ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই। যখন দরকার কিংবা ইচ্ছা তখন তিনি যেতে পারেন।

* মুসলমান হিসেবে ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে এ আর রহমানের নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার।

* ছোটবেলা থেকেই বাদ্যযন্ত্রের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। এই জন্য তার ঠিক মতো একাডেমিক পড়াশোনা হয় নাই। বাবার অকাল প্রয়াত হওয়ার কারণে এটাই ছিল তার পেশা। তবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর।

* এশিয়ার আর কেউ দুটি অস্কার পাননি। এছাড়া ২৯টি ফিল্মফেয়ার আর চারটা ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। আর অগণিত নানান অ্যাওয়ার্ড পেয়েই চলছেন।

* কানাডার এক রাস্তা আছে তার নামে। বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট তখন হোয়াইট হাউজে নিমন্ত্রণেও গিয়েছেন।

* আন্তর্জাতিকভাবে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। কয়েকবার ‘ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপল’দের তালিকাতেও নাম ছিল। মিক জ্যাগার থেকে শুরু করে ড্যাভ স্টুয়ার্ট, জোস স্টোন এদের সঙ্গে কাজ করেছেন। জিনেদিন জিদান অভিনীত এক ফ্রেঞ্চ পানির বিজ্ঞাপনেও ছিল তার কাজ। আর এয়ারটেলের সেই সিগনেচার টোন তো ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। দুনিয়াতে সব চেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া টোন।

* রজনীকান্ত আর শচীন টেন্ডুল্কারের মতো মানুষদের বন্ধুত্ব উপভোগ করেন। সাউথ ইন্ডিয়ার পরিচালকদের প্রতি তাঁর বিশেষ অনুরাগ আছে। এখনও তিনি তামিল, তেলেগু সিনেমার কাজ করেন।

* ছোট বেলাতেই ওয়ান্ডার কিড ছিলেন। দূরদর্শনের এক অনুষ্ঠানে চারটা কিবোর্ড এক সঙ্গে বাজিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। পারিবারিক জীবন তার অত্যন্ত সাধারণ। সন্তানদের সময় দেন। মায়ের পছন্দেই বিয়ে করেছিলেন।

* তিনি কখনও নিজের জন্মদিন পালন করেন না।  সিন্ধু ভৈরবী রাগ তাঁর খুব পছন্দ।

* কথা ছিল 'রোজা' সিনেমার জন্য তিনি নিজে টাকা নেবেন না। কিন্তু পরিচালক মনি রত্নম খুশি হয়ে তাকে ২৫ হাজার টাকার একটা পে-চেক দেন। তার স্বপ্ন সেদিন পূর্ণ হওয়া শুরু করলো। কিশোর বয়সেই মাত্র ৫০ টাকা পারিশ্রমিকে তিনি ইন্সট্রুমেন্ট প্লে করতেন। অনেকদিন ধরে তিনি বলিউডের দামী সংগীত পরিচালকদের একজন।