২০১৯ সালের নভেম্বরে দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হলেও মহামারীর ফাঁদে ছবির কালার গ্রেডিংসহ অন্যান্য কাজ আটকে ছিল; মাস দুয়েকের মধ্যেই ভারত থেকে বাকি কাজ সম্পন্ন করে এ বছরের মাঝামাঝি কিংবা শেষের দিকে ছবির মুক্তির পরিকল্পনার কথা জানালেন নির্মাতা সুমন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুটিং শেষ হওয়ার পরও কোভিডের কারণে প্রায় এক বছর ধরে কাজ আটকে ছিল। আমরা ভারতের ভিসার অপেক্ষায় আছি। ভিসা পেলেই কালার গ্রেডিংসহ অন্যান্য কাজগুলো সম্পন্ন করব।”
সমুদ্রের গল্পে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চর চৌধুরী, শরীফুল রাজ, নাজিফা তুসিসহ আরও অনেকে। সেইন্ট মার্টিন দ্বীপ এলাকায় এর দৃশ্যধারণ হয়েছে।
সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তির আগে দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবেও জমা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেন সুমন; তবে নির্ভর করবে দেশের পরিস্থিতির উপর।
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, “হাওয়া’ হচ্ছে এ কালের রূপকথার গল্প। যে রূপকথার প্রধান উপাদান সমুদ্র, ঢেউ আর একটি ট্রলার। আবহমান কাল ধরে চলে আসা যে রূপকথা আমরা শুনে এসেছি সেই রূপকথা ’হাওয়া’ নয়, তবে এই চলচ্চিত্রে রূপকথা স্বয়ং নিজে এসে আধুনিক রূপে হাজির হয়। এই সময়ের যে অস্থিরতা, তা থেকে বেরিয়ে এসে এক ধরনের ধ্যানমগ্ন নির্মল যাত্রার নাম ‘হাওয়া’।”
তিনি আরও বলেন, “এটি মাটির গল্প নয় বরং পানির গল্প, সমুদ্রের গল্প। সমুদ্র এমন এক বিশালতার নাম যার পাড়ে বসে আমরা সাধারণ মানুষ এর সৌন্দর্য দেখি, রোমান্টিসিজমে ভুগি। কিন্তু গভীর সমুদ্রের গল্প জানতে পারি না। এর পাড়ের মানুষগুলোর গল্প জানলেও জানি না সমুদ্রে চলাচলরত মানুষগুলোর ভেতরের গল্প। সেখান থেকে ফেরার গল্প হয়তো জানি, কিন্তু, না ফেরার গল্প আমরা ক’টা জানি? এই না জানা মৌলিক গল্পটিই আমি আমার এই সিনেমার মাধ্যমে জানাতে চাই।”
চলচ্চিত্র নির্মাণে হাত দেওয়ার আগে ছোটপর্দায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সুমন। ২০০৬ সালে তার নির্মিত প্রথম নাটক ‘দক্ষিণের জানালাটা খোলা, আলো আসে-আলো ফিরে যায়’ প্রশংসিত হয়েছিল দর্শকমহলে।
এছাড়াও তিনি ‘তারপরও আঙ্গুরলতা নন্দকে ভালোবাসে’, ‘পারুলের দিন’,”জ্যোৎস্না নদী ও রফিকের কিছু কল্পদৃশ” ‘সুপারম্যান’, ‘কফি হাউজ’সহ বেশ কয়েকটি নাটক নির্মাণ করেছেন।