দীনেশ গুপ্ত’কে নিয়ে তৈরি ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়কার ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2020, 07:12 AM
Updated : 5 Dec 2020, 07:12 AM

ব্রিটিশ বিরোধী ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দেলনের অংশগ্রহণকারী বাঙালি দীনেশ গুপ্ত’কে নিয়ে ছবি তৈরি করছেন কলকাতার পরিচালক মানস মুকুল পাল।

আর এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রূপদান করবেন মিঠুন চক্রবর্তী।

পরিচালক এই তথ্য নিজেই জানিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “গত বছর দাদা (মিঠুন চক্রবর্তী) যখন একটি ড্যান্স রিয়েলিটি শো’য়ের প্রোমোর কাজে কলকাতা এসেছিলেন তখনই এই বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।”

“২০১৯ সালের ১৬ মার্চ দাদার বাংলোতে গিয়ে আমরা তার স্ক্রিনটেস্টও করি। কিন্তু বিধি বাম। মহামারীর কারণে সব আটকে গেল। আমাদের অনেক ক্ষতিও হল। কারণ এই প্রোজেক্টের কাজের জন্য প্রায় ৪০-৪৫ জনকে মুম্বাই থেকে আনিয়েছিলাম।”

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়কার ছবি বলে পরিচালকে বিস্তর গবেষণাও করতে হয়েছে।

মানস আরও বলেন, “দাদা-ই আমাকে বলেছে ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে কাজ শুরু করতে। ভাইরাসের কারণে তো আর কাজ বন্ধ করে বসে থাকা যায় না। তিনি-ই আমাকে এই ছবিটা তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করেছেন।”

১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর বিপ্লবী বিনয় বসুর নেতৃত্বে দীনেশ গুপ্ত ও বাদল গুপ্ত কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং (বর্তমান মহাকরণ) ভবনে অভিযান চালিয়ে, বিভাগের অত্যাচারী ইন্সপেক্টর জেনারেল সিম্পসনকে হত্যা করেন। রাইটার্স বিল্ডিং-এর অলিন্দে পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ ইউরোপীয় কর্মচারী গুরুতরভাবে আহতও হন। এরপর তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অপর দুই বিপ্লবী আত্মহত্যায় করতে পারলেও মৃতপ্রায় দীনেশকে পুলিশ বাঁচিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। বিচারে তার ফাঁসির আদেশ হয়। মৃত্যুর আগে জেলে বসে তিনি কয়েকটি চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠিগুলি ভারতের বিপ্লবী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং সাহিত্যিক বিচারেও অত্যন্ত মূল্যবান।

স্বাধীনতার পর তার ও তার অপর দুই সহবিপ্লবীর সম্মানার্থে কলকাতার ডালহৌসি স্কয়ারের নাম বিনয়-বাদল-দীনেশ বাগ (সংক্ষেপে বিবাদীবাগ) রাখা হয়।

পরিচালক মানস বলেন, “এ সবই ছবিতে রাখা হবে। এছাড়াও থাকবে বাড়তি সংযোজন।”

এই ছবিতে শ্রদ্ধাভাজন একটি চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু এখন এই ভূমিকায় কাকে নেওয়া হবে সেটা ঠিক করতে পারেননি পরিচালক।

মানসের কথায়, “তার কথা মাথায় রেখেই চরিত্রটা লিখেছিলাম। এখন আমি বুঝতেই পারছি না তার মতো আর কে আছে যাকে দিয়ে অভিনয় করানো যায়।”