অন্যসব বিনোদন কেন্দ্রের মত ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের জনপ্রিয় থিয়েটার হল স্টার সিনেপ্লেক্সও বন্ধ ছিল সাত মাস।
আপাতত ৪০ শতাংশ আসনের টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই হলে সিনেমা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন দশর্করা।
শুক্রবার দুপুরে প্রবল বর্ষণের মধ্যে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের স্টার সিনেপ্লেক্সে দর্শক ছিল অনেক কম।
প্রথম দিন টিকেট কাউন্টারে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। মাস্ক ছাড়া যে ঢোকা বারণ, সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন কর্মীরা।
একজন কর্মকর্তা জানালেন, প্রতিটি শো শেষে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। চেয়ার থেকে কার্পেট- সব জীবাণুমুক্ত করার চেষ্টা করছেন তারা।
বৃষ্টির মধ্যেও সিনেপ্লেক্সে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া চার বন্ধু ফারজানা হাসান, ফরিদা আখতার, মিলি চৌধুরী ও ফরিদা কানিজ লিপি।
চারজনে নতুন সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ দেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রেমের গল্প, খুব যে আনন্দ হয়েছে তা বলব না। একরকম বিনোদন হয়েছে আর কি।”
মিলি চৌধুরী বলেন, “সিনেপ্লেক্স পরিচ্ছন্ন থাকে বলেই ছবি দেখতে আসা। নইলে আমাদের গার্জিয়ানরা কিছুতেই রাজি হতেন না।”
সিনেপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরে প্রথম শোতে ‘উনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবির টিকেট বিক্রি হয়েছে ১০০টি। অন্য দুটি বিদেশি সিনেমায় তুলনামূলক বেশি দর্শক হয়েছে। দুপুরে মুলানের শোতে টিকেট বিক্রি হয়েছে ১২৪টি।
মুলানের টিকেট কেনার পর রিফাত নেওয়াজ বললেন, সিনেমা হল খুললেও ‘খুব ভালো’ সিনেমা এ সময় মুক্তি পাচ্ছে না। তাই বন্ধুদের নিয়ে হলিউডি সিনেমাই দেখতে এসেছেন।
বসুন্ধরা মলে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের আনাগোনাও ছিল স্টার সিনেপ্লেক্সের সামনে। ফুড কোর্টে বসে অনেকে দুপুরের খাবারও খাচ্ছিলেন।
বেসরকারি একটি কোম্পানির কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম তার স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন কেনাকাটা করতে। তাদের সঙ্গে কথা হল বসুন্ধরার ফুড কোর্টে।
“আমারও ইচ্ছা ছিল একটা ছবি দেখব। কিন্তু আমার মিসেস রাজি হলেন না। কি আর করব। কেনাকাটা সেরে বাসায় ফিরব।”
২০০৪ সালে স্টার সিনেপ্লেক্মের যাত্রা শুরু হয় পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি থেকে। রাজধানীতে তাদের আরো তিনটি মাল্টিপ্লেক্স আছে ধানমণ্ডির সীমান্ত স্কয়ার ও মহাখালীর এসকে টাওয়ারে।