বলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো এবং স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানায় প্রতরণা ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ৩৮ বছর বয়সি এক নারী মডেল।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের বরাত দিয়ে ‘প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ জানায়, মহাক্ষয়ের সঙ্গে ওই নারীর ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সম্পর্ক ছিল। সেই সময় একবার মুম্বাইয়ের আদর্শ নগর এলাকায় মহাক্ষয়ের ফ্ল্যাটে ওই নারী দেখা করতে গেলে, মহাক্ষয় তাকে ওষুধ মিশিয়ে কোমল পানীয় পান করতে দেয়। পরে বেহুশ অবস্থায় ওই নারীর সঙ্গে মহাক্ষয় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
পরবর্তী বছরগুলোতে মহাক্ষয় তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়। তবে ২০১৮ সালে এসে মহাক্ষয় ওই নারীকে প্রত্যাখ্যান করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি অন্তঃসত্ত্বাও হয়েছিলেন। মহাক্ষয় তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকেন। ওই নারী রাজি না হওয়াতে তখন তাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয়।
দিল্লির আদালত সেই সময় মা ও ছেলের আগাম জামিনও মঞ্জুর করে।
সেই সময় ওই মামলার কোনো সুরাহা না হওয়াতে আবারও আদালাতের আশ্রয় নেন এই নারী। এবছর মার্চ মাসে দিল্লির উচ্চ আদালত ‘এফআইআর’ দায়ের করার নির্দেশ দেন। তারপরেই মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানায় ১৫ অক্টোবর ‘এফআইআর’ দায়ের করার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
২০১৮ সালের ওই মামলার আগাম জামিনের পরে, সেই বছরেই প্রযোজক ও পরিচালক সুভাষ শর্মার মেয়ে, ছোট পর্দার অভিনেত্রী মাদালসা শর্মাকে বিয়ে করেন মহাক্ষয়।
২০০৮ সালে ‘জিমি’ ছবির মাধ্যমে মহাক্ষয় রুপালি পর্দায় পা রাখেন। এই ছবির জন্য সেরা নতুন মুখ বিভাগে ফিল্ম ফেয়ার পুরষ্কারের জন্য তিনি মনোনীত হয়েছিলেন।
২০১১ সালে তার অভিনীত ‘হন্টেড থ্রিডি’ ছবিটি ভালো ব্যবসা করে। তবে একই বছর মুক্তি পাওয়া ‘লুট’ ছবিটি তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।
বর্তমানে মিঠুন চক্রবর্তী ও তার পরিবার গণমাধ্যম থেকে বেশ দূরেই রয়েছেন। এমনকি এই অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরও চক্রবর্তী পরিবার কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি।ৃ