রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিনয়শিল্পীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে বিল বাবদ বকেয়া ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকায় পরিবারের তরফ থেকে কেউ তার মরদেহ গ্রহণ করতে আসেননি।
বুধবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিনয়শিল্পী সংঘ মিনু মমতাজের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন। এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিমসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
নাসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিলের একটা অংশ অভিনয়শিল্পী সংঘ দিয়েছে। আর বাকিটা মওকুফের ব্যবস্থা করেছি । ডেথ সার্টিফিকেটসহ মরদেহ ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
আসরের পর তাকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে জানান নাসিম।
বুধবার সকালে অভিনয়শিল্পী সংঘ বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করলে মায়ের লাশ গ্রহণ করেন আমানউল্লাহ।
মঙ্গলবার রাতে আমানউল্লাহর স্ত্রী লায়লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আমার স্বামী নিজেও অসুস্থ। কাউকে চিনতে পারেন না। মায়ের মৃত্যুর খবরটি আমরা রাতে তাকে জানাইনি বলে তিনি হাসপাতালে যেতে পারেননি।”
আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে পারেননি বলে জানান লায়লা।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন মিনু মমতাজ।
কয়েক বছর ধরেই ডায়বেটিস ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে নাটকের শুটিংয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কয়েকদিন তাকে আইসিইউতেও রাখা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।