বিলের জন্য অভিনয়শিল্পী মিনু মমতাজের মরদেহ হাসপাতালে আটকা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া অভিনয়শিল্পী মিনু মমতাজের চিকিৎসার বকেয়া বিল পরিশোধ করতে না পারায় তার মরদেহ গ্রহণ করেনি তার পরিবার। 

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2020, 06:36 PM
Updated : 22 Sept 2020, 06:36 PM

রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে দেড়টায় ৬৬ বছর বয়সী এ অভিনয়শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান।

রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়েছে; এখনও কেউ গ্রহণ করেনি।

১০ দিনের চিকিৎসা বাবদ ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা বিল এসেছে বলে মিনু মমতাজের পুত্রবধূ লায়লা জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এত বড় অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করার মতো আমাদের সামর্থ্য নেই।

“৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে ২২ হাজার টাকা ছাড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরও তো অনেক টাকা, কিভাবে পরিশোধ করব বুঝতে পারছি না। মিডিয়ার বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।”

মিনু মমতাজের মরদেহ গ্রহণের বিষয়ে এখনও পারিবারিক সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান লায়লা।

মিনু মমতাজের দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে সানাউল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন; তিনি আপাতত দেশে ফিরতে পারছেন না। আর বড় ছেলে আমানউল্লাহ ঢাকায় থাকলেও মায়ের মৃত্যুর পর হাসপাতালে যাননি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে আমানউল্লাহর স্ত্রী লায়লা বলেন, “আমার স্বামী নিজে মানসিকভাবে অসুস্থ। কাউকে চিনতে পারেন না। একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা তিনি নিচ্ছেন। মায়ের মৃত্যুর খবরটি আমরা এখনও তাকে জানাইনি।”

বিল পরিশোধ করে মরদেহ গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে হাসপাতালের হিসাব রক্ষণ বিভাগের একজন প্রতিনিধি জানান।

তিনি বলেন, “শহীদুজ্জামান সেলিম হাসপাতালের ম্যানেজারের সঙ্গে বিলের বিষয়ে কথা বলে গেছেন। তিনি সকালে আসবেন বলে ম্যানেজারকে জানিয়ে গেছেন।”

মরদেহ গ্রহণের বিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের প্রতিনিধিরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি; বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবৃতি জানানো হবে বলে জানান তারা।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন মিনু মমতাজ।

কয়েক বছর ধরেই ডায়বেটিস ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে নাটকের শুটিংয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কয়েকদিন তাকে আইসিইউতেও রাখা হয়েছে।

তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।