১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলতে চায় সরকার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি কমতির দিকে থাকলে আগামী ১৬ অক্টোবর দেশের সব সিনেমা হল খুলে দেবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকগ্লিটজ প্রতিবেদক ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2020, 10:18 AM
Updated : 21 Sept 2020, 12:02 PM

তবে তার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি নেওয়া হবে বলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন।

সচিবালয়ে সোমবার চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে সিনেমা হল খোলার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এর আগে একটি সভায় ১৫ সেপ্টেম্বরের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা হয়।

“যদি করেনা পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে আছে এবং ট্রেন্ডটা যদি কমতির দিকেই অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলতে পারি। তবে এ ব্যাপারে আমরা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণ করব।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিনেমা হল খুললে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং দর্শক ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক নিয়ে সিনেমা হল চালু হবে। কীভাবে আসন বিন্যাস হবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

আপাতত সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বেড়ে গেলে সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে বলে জানান তিনি।

“আমরা আজকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও যদি করেনা পরিস্থিতির অবনতি হয় তবে সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি ভিন্নতর হবে।”

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর অন্যসব বিনোদনকেন্দ্রের মত দেশের সব সিনেমা হলও গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়। চলতি মাসের শুরু থেকে বিনোদনকেন্দ্রগুলো খোলা শুরু হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শকরাও হল খোলার সুযোগ চান।

তাতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে যুক্তি দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যাত্রী পরিবহনে আগে যে বিধিনিষেধ ছিল সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ সময়ে যেভাবে যাত্রী পরিবহন হত এখন ঠিক সেভাবেই যাত্রী পরিবহন হচ্ছে। বিনোদনকেন্দ্রগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে।

“সিনেমার সাথে বহু শিল্পী, কলাকুশলীসহ আরও বহু মানুষের কর্মসংস্থান যুক্ত। সেই বিবেচনায় যেহেতু বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে, সে কারণে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।”

এক সময় বাংলাদেশে এক হাজার ২০০ সিনেমা হল ছিল জানিয়ে হাছান বলেন, “কমতে কমতে এখন ২০০-২৫০ এ সীমাবদ্ধ হয়েছে। সিনেমা হলগুলো এই শিল্পের প্রাণ। সিনেমা হল না থাকলে সিনেমা বানিয়ে সেটি প্রদর্শনের জায়গা থাকে না।

“বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালু করা, সিনেমা হলগুলোর আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল কেউ নির্মাণ করতে চাইলে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদী একটি বিশেষ তহবিল গঠন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদন চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন।”

বৈঠক শেষে বেরিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তথ্যমন্ত্রীর ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ পাওয়ায় এখন তারা ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ সিনেমা হল খোলার প্রস্তুতি নেবেন।

মিয়া আলাউদ্দিন ছাড়াও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, শরফুদ্দিন এলাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।