১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সিনেমা হলটি দর্শক উপযোগী করতে ২০১৭ সালে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংস্কার কাজ শেষে ৩৪০ আসন বিশিষ্ট সিনেমা হলটি এখন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।
হলের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সায়েখউজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে সব সিনেমা হলই এখন বন্ধ আছে। সরকার সিনেমা হল চালুর ঘোষণা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই হলটি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
সিনেমা হলের নামের সঙ্গে ‘সিনেপ্লেক্স’ যুক্ত করা হলেও হলে আপাতত একটিই স্ক্রিন থাকছে; আগামীতে স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকেই ‘সিনেপ্লেক্স’ নাম দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
১৯৬৯ সালে সিনেমা হলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হলের প্রতিষ্ঠাতা লে.কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান ইউনুস। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে হল নির্মাণের কাজ আটকে থাকার পর ১৯৭৪ সালের দিকে হলটি চালু হয়।
২০১৩ সালের দিকে উত্তরাধিকার সূত্রে তার ছেলে রোকনুজ্জামান মো. ইউনুসের হাতে হলের মালিকানা আসে। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির একজন সদস্য।
হলের আসন সংখ্যা সংস্কারের পর ৮৮৭ থেকে কমিয়ে ৩৪০টি করা হয়েছে। চেয়ারগুলো আনা হয়েছে চীন থেকে।
এতে থাকছে ডিএলপি সিনেমা প্রজেক্টর, মুম্বাই থেকে আনা গ্যালাইট কোম্পানির স্ক্রিন। হলজুড়ে থাকছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, দর্শকদের জন্য পার্কিং সুবিধার পাশাপাশি থাকছে ফুডকোর্ট।
বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি হলিউডের চলচ্চিত্রও প্রদর্শনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সায়েখউজ্জামান বলেন, “হলিউডের মুভি চালানো উপযোগী হলে সিনেপ্লেক্সটি করা হয়েছে। বাংলার সঙ্গে হলিউডের মুভিও নিয়মিত চালাতে চাই।”
প্রেক্ষাগৃহ খোলার সময় ‘মিশন এক্সট্রিম’ কিংবা ‘নবাব এল.এল.বি’ সিনেমাগুলো পেলে সেগুলোই প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে চান বলে তিনি জানান।