করোনাভাইরাসে অভিনেতা কে এস ফিরোজের মৃত্যু

অভিনেতা কে এস ফিরোজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2020, 05:02 AM
Updated : 9 Sept 2020, 07:21 AM

বুধবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয় বলে তার মেয়ে নাদিয়া ফিরোজ জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বাবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। ২৮ অগাস্ট তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে থাকায় ৩০ অগাস্ট তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছিল।

“চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইবার বাবার স্ট্রোক হয়। বুধবার দ্বিতীয় স্ট্রোকে বাবার মৃত্যু হয়েছে।”

শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে বুধবার বাদ জোহর বনানী সেনানিবাস কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে নাদিয়া জানান।

৭৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা জন্ম ঢাকার লালবাগে এ জে এম সাইদুর রহমান ও মা রাবেয়া খাতুনের ঘরে। পৈতৃক নিবাস বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে। সেখানে শৈশব ও কৈশোর কাটিয়ে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে পড়েছেন। তার আনুষ্ঠানিক নাম খন্দকার শাহেদ উদ্দিন ফিরোজ।

কে এস ফিরোজ স্ত্রী মাধবী ফিরোজ ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। মেয়েদের মধ্যে নাদিয়া ও রাবেয়া দেশেই। আরেক মেয়ে সাদিয়া থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।

অভিনয় জগতে পরিচিতি পাওয়ার আগে ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কে এস ফিরোজ। ১৯৭৭ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর অভিনয়ে নিয়মিত হন। 

তিনি মঞ্চ এবং ছোট ও বড় পর্দায় যুগপৎ অভিনয় করেছেন; নাট্যদল থিয়েটারের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও সভাপতি ছিলেন।

অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে থিয়েটারের ‘কিং লেয়ার’ মঞ্চ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে পরিচিত পান তিনি। ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘রাক্ষসী’সহ আরও বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে দেখা গেছে তাকে।

টিভিতে তার অভিনীত প্রথম নাটক ‘দীপ তবুও জ্বলে’। দিলারা জামানের স্বামী শফিউজ্জামানের রচনায় ও জামান আলী খানের প্রযোজনায় এ নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ডলি ইব্রাহীম।

পরে ‘লাওয়ারিশ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় যাত্রা করেন কে এস ফিরোজ। আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, মুরাদ পারভেজ’র ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘বৃহন্নলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

পাশাপাশি টিভি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি বিকাশের একটি বিজ্ঞাপনে বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কে এস ফিরোজ; তার মেয়ের চরিত্রে দেখা গেছে ছোটপর্দার অভিনেত্রী সাবিলা নূরকে।