মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপের উল্টো অভিযোগ প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড তাকে ঘুষি মেরেছিল।
Published : 14 Jul 2020, 04:28 PM
রয়টার্স জানায়, ২০১৮ সালে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘সান’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জনি ডেপকে ‘বউ পেটানো’ হিসেবে উল্লেখ করায় ‘পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান’ খ্যাত এই অভিনেতা নিউজ গ্রুপ নিউজপেপার ‘দি সান’য়ের প্রকাশকদের বিরুদ্ধে লন্ডনের উচ্চ আদালতে দায়ের করা মামলায় পাঁচ দিনের শুনানি শেষ হয়েছে।
যেখানে এই অভিনেতা অভিযোগ করেন তার প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড-ই বরং তাকে মারধর করতো।
পত্রিকার পক্ষের উকিল আদালতে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ দাখিল করেন। যেখানে বলা হয় ২০১৩ সাল থেকে পরের তিন বছরে অন্তত ১৪বার জনি ডেপ তার স্ত্রীকে হিংস্রভাবে আক্রমণ করেন।
তবে ৫৭ বছর বয়সি এই অভিনেতা সব অভিযোগ পরিহার করে বলেন, “এগুলো সবই বানোয়াট। মিজ হার্ড মিথ্যা বলছেন। এটা তার ‘ইন্সুরেন্স পলিসি’র একটা অংশ হিসেবে চালাকি করে মিথ্যা ঘটনা সাজাচ্ছেন।”
জনি ডেপ আদালতে অভিযোগ করেন, মিজ হার্ড তাকে বোকা ভাবে তার বন্ধুদের সামনে উপস্থাপন করতো। এমনি একদিন বিছানায় শুয়ে বই পড়ার সময় হার্ড তাকে সজোরে ঘুষিও মারেন।
শুনানির পঞ্চম দিনে অভিনেতার উকিল ডেভিড শেরবর্নের এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, “এগুলো আসলে কেউ বিশ্বাস করবে না। মিজ হার্ড যা বলছেন তা অনেকটা বিপরীত স্বীকারোক্তি। তিনি আসলে আমার সঙ্গে যা করতেন সেগুলোই আমার উপর চাপাচ্ছেন।”
২০১১ সালে ‘দি রাম ডায়েরি’তে অভিনয় করতে গিয়ে অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে জনি ডেপের পরিচয় ঘটে। তারা বিয়ে করেন ২০১৫ সালে।
আগের দিনের শুনানিতে আরও অভিযোগ করা হয়, জনি ডেপ মাথা গরম, হিংসাত্বক আচরণ করে লাথি মারতো, মদের বোতল ছুড়তো।
তবে এই অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে ডেপ বলেন, “বরং হার্ডের ছোড়া বোতলের আঘাতে আমার আঙ্গুল কেটে গিয়েছিল।”
আদালতে আরও জানানো হয়, সেই ক্ষতিগ্রস্ত আঙ্গুল থেকে যে রক্ত বের হয়েছিল সেটা দিয়ে সারা বাড়িতে ডেপ নানান রকম অভিযোগের বাণি লিখে দেয়াল রাঙিয়ে ছিল।
জনি ডেপ সেটা স্বীকার করে বলেন, “ওই সময় আমার মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আমি ধারণা করতে পেরেছিলাম হার্ড এবং অভিনেতা বিলি বব থর্টনের মধ্যে কিছু একটা চলছে। যা আমাকে প্রচণ্ডভাবে দমিয়ে দিয়েছিল।”
এই ঘটনার পরেই জনি ডেপের বিরুদ্ধে হার্ড নির্যাতনের অভিযোগ আনেন।
সোমবার আদালতে ডেপ বলেন, “তাই কাটা হাত নিয়ে আঘাত করার ক্ষমতা তার ছিল না।”
এদিকে জনি ডেপের সহকারী স্টিফেন ডয়েটার এই অভিনেতার পক্ষ নিয়ে বলেন, “আমি কখনও ডেপকে নির্যাতন করতে দেখিনি।”
শুক্রবার থেকে বিভিন্ন প্রমাণ হাজির করা শুরু করেন অ্যাম্বার হার্ড। এখন ধারণা করা হচ্ছে এই বিচার কাজ অন্তত তিন সপ্তাহ ধরে চলবে।