‘অ্যাভাটার’ ও ‘জুরাসিক পার্ক’ নিয়ে হলিউডের যাত্রা শুরু

বাস্তবে ফিরে না আসলেও লকডাউন শেষে হলিউড ছবিতে ফিরছে ডায়নোসররা।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2020, 10:25 AM
Updated : 25 June 2020, 10:25 AM

করোনাভাইরাসের ছোঁবলে প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর হলিউডে প্রথম যে দুটি ছবির কাজ শুরু হচ্ছে তা হল ‘অ্যাভাটার’ এর পরবর্তী পর্ব ও ‘জুরাসিক পার্ক: ডোমিনিয়ন’।

২০০৯ সালের জেমস ক্যামেরনের ব্লকবাস্টার বিজ্ঞান-কল্পকাহিনি নির্ভর ছবি ‘অ্যাভাটার’ এর কাজ শুরু হচ্ছে নিউ জিল্যান্ডে। যে দেশ এখন করোনাভাইরাস মুক্ত।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছবির প্রযোজকের দেওয়া তথ্যানুসারে রয়টার্স জানায়, এই ছবির কারণে নিউ জিল্যান্ডে শত শত মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বিশাল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে।

নিউ জিল্যান্ডের ভেতরে সব স্বাভাবিক থাকলেও তাদের দেশের সীমানা এখনও বন্ধ। তারপরও ছবির স্বার্থে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে ছবির পরিচালক ক্যামেরন, প্রযোজক জন ল্যান্ডাও-সহ কলাকুশলীরা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে নিউ জিল্যান্ডে পৌঁছান। আর নিয়ম অনুযায়ী তারা এখন রয়েছেন হোটেল ওয়েলিংটনে, কোরেন্টিনে।

সেখানে থেকেই ওয়াননিউজ’য়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যান্ডাও বলেন, “এই এক প্রোডাকশনের জন্যই প্রায় ৪শ’ নিউ জিল্যান্ডারবাসীর কর্মসংস্থান হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি ছবি কাজের জন্য এখানে বিনিয়োগ করা হবে ৭ কোটি ডলারের অধিক অর্থ।”

তিনি আরও বলেন, “এতে আসলে নিউ জিল্যান্ডের লাভই হচ্ছে।”

এদিকে ইউনিভার্সাল স্টুডিও সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, তিন মাস বন্ধ থাকার পর তারা ‘জুরাসিক পার্ক: ডোমিনিয়ন’ দিয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে জুলাই মাসের প্রথম দিকে।

ইংল্যান্ডের পাইনউড স্টুডিওতে শুরু হতে যাওয়া এই কাজের জন্য নেওয়া হবে সর্বোচ্চ সুরক্ষা।

জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ এর পরে করোনাভাইরাস পরবর্তী কাজ হিসেবে এটা হবে হলিউডের দ্বিতীয় ছবি।

সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর শিল্পী ও কলাকুশলীদের দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকার পাশাপাশি তাদের ঘন ঘন করোনাভাইরাস ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি থাকবে দেড়শ’র বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্টেশন। আর থাকবে ‘গ্রিন জোন’।

হলিউডের সংবাদ মাধ্যম ‘ডেডলাইন’ এক প্রতিবেদনে জানায়, সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ইউনিভার্সাল স্টুডিও প্রায় ৫০ লক্ষ ডলার খরচ করতে যাচ্ছে।

এদিকে নেটফ্লিক্স জানিয়েছে তারাও কাজ শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আইসল্যান্ডে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের বেশিরভাগ ছবির স্টুডিওগুলো অবস্থিত। গত সপ্তাহেই তারা কাজ শুরুর জন্য ‘সবুজ’ সংকেত পেয়েছে। তবে পুরোদমে কাজ শুরু করতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিভিন্ন স্টুডিওর সঙ্গে সম্পৃক্তরা।