ভারতীয় সংগীত জগতেও স্বজনপ্রীতি নিয়ে ক্ষোভ

সনু নিগমের পর মুখ খুললেন আদনান সামি এবং আলিশা চিনাই।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2020, 10:29 AM
Updated : 23 June 2020, 11:01 AM

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে ‘স্বজনপ্রীতি’ নিয়ে ওঠা ঝড় ভারতীয় সংগীত জগতেও আঘাত হেনেছে। আর সেটা শুরু হয়েছে সনু নিগমের অভিযোগের পর।

কণ্ঠ শিল্পী, সুরকার ও গীতিকাররা বিভিন্ন সংগীত প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি থাকার বিষয়ে আলোকপাত করে সনু নিগমের ভিডিও পোস্টের পর আদনান সামি বড় আকারেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন তার ইন্সটাগ্রামে।

আদনান সামির ইন্সটাগ্রাম পোস্ট থেকে নিউজএইটিন ডটকম জানায়, নতুন প্রতিভারা প্রতারিত হচ্ছে আর তাদের সৃজনশীলতা হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত।

আদনান লেখেন, “নতুন ও অভিজ্ঞ শিল্পী, সুরকার ও প্রযোজকরা যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের কাছ থেকে ভারতীয় সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতে সত্যিকারের একটা ধাক্কা প্রয়োজন।  যাদের মধ্যে সৃজনশীলতার কোনো ধারণাই নেই তাদের মাধ্যমে কেনো সৃজনশীলতা নিয়ন্ত্রিত হবে।”

তিনি আরও লেখেন, “ভারতে এত মানুষ। তাদের জন্য নতুন কোনো কিছু উপহার না দিয়ে শুধু ‘রিমেইক’ আর ‘রিমিক্স’ দিয়ে সংগীত জগত চালাতে হবে কেনো। বন্ধ কর এসব। সত্যিকারের প্রতিভাদের সুযোগ দাও, অভিজ্ঞদের নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দাও এবং সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতে সৃজনশীলতার শান্তি নিয়ে আস। তোমারা কি ইতিহাস থেকে কিছু শিখতে পার না। জান-না শিল্প ও সৃজনশীলতার সম্পর্ক কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যথেষ্ট হয়েছে। বন্ধ কর এসব।”

এই পোস্টের উত্তরে সংগীত শিল্পী আলিশা চেনাই এসে লেখেন, “ভারতের চলচ্চিত্র ও সংগীত জগত হচ্ছে বিষাক্ত জায়গা। এই জগতের মাফিয়ারা ভয় ও শক্তি দিয়ে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। নৈতিকতা ও ‘ফেয়ার প্লে’ বলতে কিছু নেই। শ্রদ্ধা ও সম্মানের পরিবর্তে তারা তোমাকে ব্যবহার করবে প্রতারণাপূর্ণ চুক্তিবদ্ধের মাধ্যমে। আর তাদের হয়ে তোমাকে খেলতে বাধ্য করবে। এই কারণে চলচ্চিত্র ও সংগীত ধ্বসে যাচ্ছে। কর্মফল পেতেই হবে।”

সংগীত জগতের পক্ষ থেকে সনু নিগম প্রথম এই বিষয়ে ইন্সটাগ্রামে ভিডিও আপলোড করে বলেন, “সংগীত জগতে অসাধু চর্চার জন্য কোনো শিল্পী আত্মহত্যা করলে অবাক হব না।”

পাশাপাশি তিনি দুটি ‘মিউজিক লেবেলস’কে দায়ী করেন যারা এই জগত নিয়ন্ত্রণ করছে।

সোমবার তিনি আরেকটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ‘টি সিরিজ’ এর নাম উল্লেখ করে এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভুশান কুমারকে সাবধান করেন।