সরকারের ‘সাধারণ ছুটি’র সঙ্গে সমন্বয় রেখে ১৬ মে পর্যন্ত শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৫ সংগঠন।
সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার মগবাজারে মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ের খবর পেয়ে ফুটেজ জব্দ করে শনিবার রাতে সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক।
তিনি জানান, শুটিংয়ে মিউজিক ভিডিওর শিল্পী ও কলাকুশলী মিলিয়ে ৮ জনের মতো ছিলেন; তবে সেখানে নাটকের কোনো শিল্পী ছিলেন না।
“আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিসের সন্তোষজনক জবাব না পেলে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও পেশার শৃ্ঙ্খলার বিষয় বিবেচনা করে সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব ধরনের শুটিং কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়েছে আন্তঃসংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে ২২ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের টিভি নাটকের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংগঠনগুলো; এরপর কয়েক দফায় সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় রেখে শুটিং বন্ধের সময় বাড়ানো হয়েছে; সবশেষ ১৬ মে পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে কোনো নির্মাতা-অভিনয়শিল্পী শুটিং করলে তা সাংগঠনিকভাবে প্রতিহত করা হবে বলে এক অনুষ্ঠানে হুঁশিয়ারি করেছিলেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু।
সপ্তাহখানেক আগে আয়োজিত আলোচনায় লাভলু বলেন, “সরকার নির্ধারিত বন্ধের সময়ে আমরা কেউ শুটিং করব না। আমার ব্যক্তিগত মতামত, কেউ যদি শুটিং করতে চায় অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। তা না হলে সরকার ও সবার কাছে আমাদের বিশ্বস্ততা নষ্ট হবে।
“শুটিং করতে গিয়ে কেউ আক্রান্ত তার দায়ও সংগঠনের কাঁধেই আসবে। আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, আপনারা কিভাবে পারমিশন দিলেন? আমরা ঝুঁকি নিয়ে চাই না।”
এর আগে ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি; তা এখনও বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনের শুটিংও।