‘পিপিই ও মাস্ক তৈরির জন্য’ সরকারি ছুটির দিনেও হেমায়েতপুরের এজেআই গ্রুপের একটি কারখানা খোলা রাখার কথা স্বীকার করলেও শ্রমিকদের জোর করে এনে কাজ করানোর অভিযোগ নাকচ করেছেন এ ব্যবসায়ী।
অনন্ত জলিলের দাবি, ছুটির দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা কাজ করলে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তাতেই তিন থেকে চারশ শ্রমিক স্বেচ্ছায় কাজে যোগ দেন।
এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “করোনার এই মহামারীতে আজকের ছুটিটা পেয়ে সবাইকে ঘরেই বসে থাকতে হত, যেহেতু সব জায়গায় লকডাউন। সেখানে চার ঘণ্টা কাজ করে ডাবল টাকা পাওয়ার ঘোষণা শুনে আনন্দের সহিত তারা (শ্রমিকরা) আজকে ফ্যাক্টরিতে আসার সম্মতি জানায়।”
তবে ‘জোর করে কাজ করানোর’ প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-মানিকগঞ্জ সড়কে তার কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
শ্রমিকদের বরাতে খববের বলা হয়, তারা স্বেচ্ছায় কাজে যোগ দেননি, তিন দিনের হাজিরা কাটার ভয় দেখিয়ে সরকারি ছুটির দিনেও তাদেরকে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ অভিযোগ নাকচ করে অনন্ত জলিল বলছেন, “বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া কেউ করেনি, এ ধরনের বানোয়াট মিথ্যা নিউজ করবেন না।”