গানটিতে মজার ঢঙে দেওয়া হয়েছে সামাজিক তথ্য এবং এই সময়ে ভালো থাকার পরামর্শ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’য়ের গ্লিটজের সঙ্গে আলাপে মাশরুর ইনান তথা কিটো ভাই জানালেন তার কিটো ভাই হয়ে ওঠার গল্প এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
গ্লিটজের সঙ্গে কিটো ভাই তথা মাশরুর ইনানের আড্ডা
বরিশালের ছেলে ইনান খেতে খুব পছন্দ করেন। তবে ওজন বেড়ে যাওয়াতে যখন তাকে পরিবারের অন্যান্যরা কিটো ডায়েট করার কথা বলে, তখন মনটা যেন ভেঙেই গেল তার। আপলোড করেন ‘কিটো ডায়েট’ নিয়ে একটা ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিও। বরিশালের ভাষায় করা সেই ভিডিওর শেয়ার হয় চোখের নিমিষে। ইনান হয়ে যান ‘কিটো ভাই’।
এরপর থেকে শুরু হয় তার বরিশালের ভাষায় বিভিন্ন গল্প বলা আর শেয়ার করার যাত্রা।
এই বছরের শুরুতে করা এই পেইজের জনপ্রিয়তার গ্রাফ হঠাৎ করেই যেন আকাশ ছুঁয়ে ফেলে ফেব্রুয়ারিতে। হ্যাপি সংয়ের কারণে। এই গানের নাম হ্যাপি সং হলেও এতে আছে করোনাভাইরাস নিয়ে নানা রকমের তথ্য। আছে সাবধানতা বজায় রাখার অনুরোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা আবার মজার ছলে নিজেকে সামলে রাখারও প্রতিশ্রুতি।
গ্রাম আর শহরাঞ্চলে বড় হওয়া ইনান এখন ঢাকায় থাকলেও মনটা তার সোঁদামাটিরই। তাই আঞ্চলিকতা প্রিয়। তারমানে কী চলিত বা কথ্য ভাষা তার আসে না?
তারও প্রমাণ দিয়ে দিলেন বিভিন্ন গান কভার করে। যার মাঝে অর্ণবের গানও আছে।
ইনান বলেন, “গান তার খুবই প্রিয়। সামাজিক মাধ্যমে একারণেই হয়ত সুরে সুরে তার বারবার ফিরে আসা।”
এছাড়াও তিনি আরও চেষ্টা করেন বিভিন্নভাবে মজা করে বিনোদন দিতে। কখনও অংক কষে, কখনও আঞ্চলিক প্রবাদ বলে। ভুল হলে সেজন্য ক্ষমাও চাইতে ভুল করেন না।
যেহেতু সামাজিক মাধ্যমে এখন সববয়সিদের সমান ও অবাধ যাতায়াত- তাই ভাষার ব্যবহারে আরও সংযত হতে চান ইনান ওরফে কিটো ভাই।
হ্যাপি সংয়ের কিটো ভাই তথা মাশরুর ইনান কথায় কথায় তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও বললেন।
ইনান কাজ করতে চান দেশের জন্য। কারণ তিনি মনে করেন, কোনো শেষই শেষ নয়। প্রতিটা শেষ থেকে কোনও না কোনও শুরুর ইঙ্গিত দেয়।
আর তা যদি হয় হাসি দিয়ে শুরু তাতে ক্ষতি কী?