গত ১৪ মার্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে সুন্দরবনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চে চলচ্চিত্রের পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল, অভিনেতা সিয়াম ও অভিনেত্রী পরীমনিসহ শতাধিক অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী আছেন।
২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণার পর ২৬ মার্চ পুরো ইউনিট নিয়ে ফেরার পথে খুলনার দাকোপ এলাকায় কোস্টগার্ডের বাধার মুখে পড়েন বলে জানান ছবিটির সহপ্রযোজক মুশফিকুর রহমান।
ছবির পরিচালক বলেন, “অনুমতি ছাড়া কোনো ঘাটেই ভিড়তে পারছে না লঞ্চটি; আবার ঢাকার পথেও যাত্রা করতে পারছে না। আমরা দাকোপ পার হয়ে কোনো একটি জায়গায় মাঝ নদীতে আটকে আছি।”
প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমতি পাওয়ার আগ অব্দি সেখানেই থাকতে হচ্ছে তাদের; ইতোমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান জুয়েল।
এর আগে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো ৩১ মার্চ অব্দি সব ধরনের চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও তা না মেনে শুটিং করার বিষয়ে তিনি জানান, গভীর সুন্দরবনে থাকায় মোবাইলে নেটওয়ার্ক ছিল না তাদের। ফলে সেই বার্তাটি তারা জানতেন না। জানার পরপরই শুটিং স্থগিত রেখে রওনা দিয়েছেন।
সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের সহ-প্রযোজনায় আছে বঙ্গবিডি।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শুটিং ইউনিটে পর্যাপ্ত সতকর্তামূলক ব্যবস্থা রাখার কথা জানান পরিচালক।
“যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাদের মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাইরে থেকে ফিরে গরম পানি দিয়ে কাপড় ধোয়া হচ্ছে। সবসময়ের জন্য তিনজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছি আমরা।”
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ নামে অনুদান পাওয়ার পর ছবির নাম বদলে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ করা হয়। এর চিত্রনাট্য করেছেন জাকারিয়া সৌখিন।